
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং ট্যাক্স,বাড়ির ট্যাক্স এবং ব্যবসারও ট্যাক্স দেওয়ার পরেও রাত্রি কালীন আবর্জনা তুলবার জন্য এক্সট্রা সার্ভিস চার্জ লাগিয়েছে পৌরসভা এর বিরুদ্ধে সরব হল ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ব্যবসায়ীরা। তারা দাবি করেন এই ধরনের এক্সট্রা চার্জ তারা কিছুতেই দেবে না পৌরসভা কে,তাতে আন্দোলনে নামতে হলে নামবে তারা।

এবার পৌরসভার রাত্রিকালীন এক্সট্রা সার্ভিস চার্জ এর বিরুদ্ধে পথে নামল DCCI।ঘটনাচক্রে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মত জানা যায় সম্প্রতি মেদিনীপুর পৌরসভা মেদিনীপুর শহরের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রাত্রিকালীন সার্ভিস চার্জ নামক একটি এক্সট্রা টাকা আদায় করার উদ্যোগ নিয়েছে।আর সেই সার্ভিস চার্জের প্রতিবাদেই সোচ্চার হয়েছে কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ব্যবসায়ীরা।তাদের বক্তব্য এই সার্ভিস চার্জ দিতে আমরা বাধ্য নই। তারা এও জানান তাদের রেস্টুরেন্ট হোটেল আছে বলে শহরের ঐতিহ্য রক্ষা হচ্ছে এবং সাধারণ শহর বাসী গ্রাহকদের সেই সঙ্গে আগত টুরিস্টরা পরিষেবা পাচ্ছে।

পাশাপাশি তাদের বক্তব্য এরই সঙ্গে কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং ট্যাক্স,বাড়ির ট্যাক্স এবং ব্যবসারও ট্যাক্স দিয়ে থাকি।তাছাড়া তারা এও অভিযোগ করেন মেদিনীপুর পৌরসভা দু এক বছরের মধ্যে বৃহত্তম ট্রেড লাইসেন্স ট্যাক্স বৃদ্ধি করেছে যা অন্যান্য পৌরসভার তুলনায় অনৈতিক।পাশাপাশি তারা অভিযোগ করেন
লাইসেন্স ফি সেই সাথে ফুড সেফটি লাইসেন্সেরও ট্যাক্স দেওয়ার পরেও যদি সার্ভিস চার্জের মতো একটা অনৈতিক চার্জ লাগানো হয় আমরা তা দিতে অপারগ। এদিন তারা বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন তাদের এই আলোচনাতে। তারা দাবি করেন যে
সার্ভিস চার্জ কোনমতেই নেওয়া চলবে না সেই সঙ্গে
শহরের সমস্ত রেস্টুরেন্ট হোটেলদের তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের ব্যবস্থা পৌরসভার পক্ষ থেকে করতে হবে।এদিন একটি প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যান সৌমেন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিষয়গুলি তুলে ধরেন।নেতৃত্বে ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক চন্দন রায় ও শঙ্কর দাস,সুকুমার দে,দীপঙ্কর দে,মনিরাম বিষয়,বিশ্বজিৎ কপাট সহ মেদিনীপুর শহরের হোটেল রেস্টুরেন্ট লজ ব্যবসায়ী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক চন্দন রায় বলেন আমরা সব ধরনের ট্যাক্স দিয়েই ব্যবসা করছি।এই ব্যবসা ইতিমধ্যে মন্দা চলছে। তারপরও প্রতি মাসেই পৌরসভা নতুন নতুন ভাবে এক্সট্রা চার্জ লাগাচ্ছে তাদের ব্যবসার উপর।এতে যেমন ব্যবসার ইনকাম কমছে তেমনি ধীরে ধীরে ব্যবসা করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলছে মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীরা।এরই প্রতিবাদ জানাতে আজ পৌরসভায় এসেছিলাম।যদি দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা অন্যরকম ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।