Dilip Ghosh:বিজেপি কর্মীদের ঝাণ্ডা বাঁধতে দেওয়া হচ্ছে না,ঘর থেকে বেরোলে ভয় দেখাচ্ছে!ভোটের একদিন আগেই আতঙ্ক প্রকাশ দিলীপ ঘোষের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

বিধানসভা উপনির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে মেদিনীপুরে এলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাসপাতালের রেফার থেকে শুরু করে সিসিটিভি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, কলকাতায় অস্ত্রভাণ্ডার,বনগাঁয় গুলি, শিয়ালদা আদালতে সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি।

নানা বিষয় নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

মূলত উপনির্বাচনের শেষ দিন প্রচারে প্রার্থীকে নিয়ে বেগ তুললেন বিজেপি সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ।এদিন তিনি উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর শুভজিৎ রায় কে হুডখোলা জিপে নিয়ে প্রচারে বের হন।গোটা রিং রোড বর্নাঢ্য র‍্যালী সহযোগে পরিক্রমা করা হয়।তবে প্রচারের আগে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রস্থ অভিযোগ করলেন এই ভোটের প্রচার সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে।উপনির্বাচন কেমন হবে তা নিয়ে তিনি বলেন পশ্চিমবাংলায় ভোটের সন্ত্রাস হবে এটা আমি জানতাম।শালবনির বহু গ্রামে বিজেপিকে ঝাণ্ডা বাঁধতে দেওয়া হচ্ছে না।কর্মীদের মারা হচ্ছে বেরোলে,ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে,আমাদেরকে কি জিজ্ঞেস করে ঝান্ডা বাঁধছিলেন।সুতরাং নির্বাচনে পতাকা বানতে গেলেও পুলিশের পারমিশন নিতে হবে, অতএব কি পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।এরপর বনগাঁতে গুলি চালানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবাংলায় গুলি চালানো এটা নতুন নাকি!রাস্তাঘাটে কলকাতার বুকে রোজ গুলি চলছে বোম ফাটছে।

ফলে এগুলো সয়ে গেছে।খুন,ধর্ষন,গুলি,বন্দুক,বোমা কারখানা এগুলো সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে।এগুলো কুটির শিল্প আমাদের।এতে মানুষ খুব একটা প্রভাবিত হয় না।আইন-শৃঙ্খলা যেখানে নেই,দুষ্কৃতকারীরা যেখানে পার্টি আর সরকার চালায় সেখানে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না।কলকাতায় অস্ত্র ভান্ডারের হদিস প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে যখন আইন শৃঙ্খলা কড়া হয়েছে,আমাদের পাশের রাজ্য বিহার, উত্তরপ্রদেশে 20-30 বছর আগে জঙ্গলের রাজ ছিল। ওখানে সরকার পরিবর্তন হতেই দুষ্কৃতী মাফিয়া গুন্ডারা পালিয়ে পালিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গে ঘাটি গেঁড়েছে।আর এখানে যে সরকার আছে সে সরকার এই দুষ্কৃতকারীদের বন্ধু সরকার।বাংলাদেশের উগ্রপন্থী হোক বা নেপাল বা উত্তর-পূর্ব কিংবা পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার সবার এই রাজ্যে আড্ডা,আর এখানে নিশ্চিন্তে থাকে।কারণ এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না।সেন্ট্রাল রেফারেন্স সিস্টেম প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,কোন সিস্টেম নেই এখানে।শিক্ষা ব্যবস্থা,স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং প্রশাসন সবই ভেঙে পড়েছে। সেই সরকার এখন স্যালাইনে চলছে,সময় গুনছে,এক দেড় বছর কিভাবে কাটাবে।

সিসিটিভি ক্যামেরা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এই জুনিয়র ডাক্তারদের।কমপক্ষে কড়া আন্দোলন করেছিল বলে পার্টির লোকেরা কামানোর সুযোগ পেল।না হলে দেড় লাখ টাকা 1 লাখ টাকা সিসিটিভি কি করে হয় আমরা তা জানি না।এর আগে এ রাজ্য সরকার যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিল রাস্তায়,হাসপাতালে সেগুলো একটাও চলে না।আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে এত বড় আন্দোলন শৌচালয় আর সিসি টিভির জন্য সেটাই লাগেনি এখনও।আর জি কর মামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,আমরা তো এটাই বুঝতে পারছি না যে বিচার কোথায় হবে।

যেখানে মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে,সেখানে শিয়ালদা কোটের কি গুরুত্ব থাকতে পারে, যারা বিশেষজ্ঞ আইনের তারা বলতে পারবে।আমরা সাধারণ বুদ্ধিতে এটা বুঝতে পারছি না যে কেসটা কোথায় হবে?


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in