
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
হঠাৎ কোন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অথবা অঙ্গহানি ঘটেছে তার জেরে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন তার পরিবার এবং সেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন।এবার তাদের ক্ষতিপূরণে অর্থ পৌঁছে দিতে তড়িঘড়ি ক্যাম্পের আয়োজন মেদিনীপুর পরিবহন দপ্তরের।এদিন প্রথম ক্যাম্পে প্রায় ৪৭৬ জনের কাগজপত্র জমা নিলেন পরিবহন আধিকারিক। দ্বিতীয় ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে মার্চ মাসে।

এক ঝটকায় ক্যাম্প করে প্রায় পাঁচ শতাধিক মৃতের পরিবারকে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ।প্রসঙ্গত,মেদিনীপুরে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে সেই সঙ্গে নিহত হয়েছে পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।কখনো টু হুইলার কখনো বা ফোর হুইলার।এছাড়াও বাস ট্রাক ছোট বড় যানবাহনে দুর্ঘটনায় বিকলাঙ্গ হয়েছে অনেকে।সেইসব মানুষ এবং তার পরিবার ক্ষতিপূরণের আশায় সরকারি দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বছরের পর বছর।এবার সেইসব অসহায় মানুষের পাশে মেদিনীপুর পরিবহন দপ্তর।এদিন মেদিনীপুর পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে এক ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।যেখানে টেন্ট খাটিয়ে একাধিক টেবিল পেতে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের ক্ষতিপূরণ আবেদন জমা নেওয়া হয় এবং আশ্বাস দেওয়া হয়,অতি দ্রুত তাদের ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে তাদের অ্যাকাউন্ট মারফত।

যা নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেখছে এই দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষজন এবং তার পরিবারের।এদিন সেই সকল মানুষজন এখানে এসে ভিড় জমান। তারা তাদের যাবতীয় তথ্য ফরম ফিলাপ করে তুলে দেন আরটিও অফিসারের কাছে।উল্লেখ্য,কিছুদিন আগে একটি ফ্রিতে চক্ষু পরীক্ষা শিবির করা হয়েছিল এই পরিবহন দপ্তরে উদ্যোগে।সেখানে মোট ২১৬ জনের চক্ষু পরীক্ষা করেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।যার প্রেক্ষিতে মোট ৭১ জন মানুষ কে ফ্রী চশমা প্রদান করা হয়।


এ বিষয়ে মেদিনীপুর পরিবহন আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন,”এই ক্যাম্প করার উদ্দেশ্য হঠাৎ দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হলে তার ক্ষতিপূরণ কিভাবে পাওয়া যাবে!আমরা এই ক্যাম্প করে আজকে মোট ৪৭৬ জনের কাগজপত্র জমা নিচ্ছি। এই ক্যাম্প আবার মার্চ মাসের ৬ তারিখ হবে,সেদিন তারা এসে তাদের বাকি কাগজগুলো জমা দিতে পারবেন।আমরা চাই এ অসহায় মানুষগুলো তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা যেন অতি দ্রুত ফিরে পায়।

পাশাপাশি তিনি এও বলেন পরিবহন দপ্তর সর্বদাই মানুষের পাশেই রয়েছে।