
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
খবরের জেরে আবার তোলপাড় জেলা।আবার সঠিক বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ আরও এক ভুল চিকিৎসার শিকার রোগী ও তাঁর পরিবার। তাদের দাবি তাদের ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে এবং এই ভুল চিকিৎসায় অভিযুক্ত নার্সিংহোম সহ অভিযুক্ত চিকিৎসক কাঞ্চন ধাড়া।রোগী ও পরিবারের দাবি ইউটেরাসের অপারেশন করতে গিয়ে কোলন কেটে দিয়েছে এই অভিযুক্ত চিকিৎসক।
ঘটনা ক্রমে জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশের জেলা ঝাড়গ্রামের অলক্তা খামরই গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে জরায়ুর অপারেশনের জন্য মেদিনীপুর শহরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি হন।তার অভিযোগ সেই সময় ভুল চিকিৎসার শিকার হন তিনি।ভুল চিকিৎসার জন্য প্রায় ৭ মাস তাকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।পরে চেন্নাই গিয়ে পুনরায় অপারেশন হতে হয় তাকে।সেই ঘটনার প্রায় ৬ মাস অর্থাৎ চলতি বছরের মে মাসে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানায় ডাঃ কাঞ্চন ধাড়া, ডাঃ সন্ধ্যা মন্ডল ধাড়া, ডাঃ এস.বি পান্ডে, সমর দাস সহ নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ দায়ের হয়।অভিযোগ এই ঘটনার এতদিন কেটে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছেনা। উল্লেখ্য গত দুদিন আগে একই ঘটনার শিকার আরও এক ভুক্তভোগী মৃতা রোগীনীর মেয়ে কেয়া মাইতি, স্বামী স্বপন খামরই বিচারের আশায় মেদিনীপুর জেলা আদালতে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেছিল।সেদিনই সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। তাই শনিবার সন্ধ্যায় অলোক্তা খামরই সহ তার পরিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে উপস্থিত হন বিচারের আশায় এবং চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে।


এদিন এই আক্রান্ত রোগী অলক্তা খামরুই বলেন গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার ইউটেরাসের অপারেশনের জন্য কাঞ্চন ধাড়া আন্ডারে ভর্তি হই একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।সেখানেই ওই অভিযুক্ত ডাক্তার আমার ইউটেরাসের অপারেশন করতে গিয়ে কোলন কেটে দিয়েছেন এবং তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।এই ঘটনায় আমার জীবন সংশয় ছিল।পরবর্তীকালে কোনক্রমে চেন্নাই গিয়ে এই ভুল ট্রিটমেন্টের সঠিক চিকিৎসা করে নিয়ে আসি।ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক নার্সিংহোমের প্যাডে লিখে দিয়েছিলেন যে তিনি ভুল চিকিৎসা করেছেন।আমরা চাই ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।