নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মানসিক ভারসাম্য গৃহবধূ অনধিকারের প্রবেশে গ্রেপ্তার হয়ে জামিন পেয়েও বেল বন্ডের অভাবে 8 বছর কাটালেন জেলে।অবশেষে ডিএলএস এর কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় বাড়ির লোককে খুঁজে পেয়ে গৃহবধূকে তুলে দিল তারা।এই ঘটনায় খুশি সর্ব মহলে।স্ত্রী কে পেয়ে খুশি চৌধুরী পরিবারের লোকজনেরা।অভিযোগ পুলিশের সামান্য ভুলের কারণে সাত বছর জেলেই কাটালেন নলিনী দেবী।
গৃহবধূর পরিবার ও কোর্ট সূত্রে জানা যায়,ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পালামু জেলার বাসিন্দা নলিনী চৌধুরী।স্বামী স্বামী লালজি চৌধুরী ও দুই ছেলে দুই মেয়ে জামাই নিয়ে তার ভরা সংসার।কিন্তু 2017 সালে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে নলিনী দেবীর নিখোঁজ হয়ে যান বাড়ি থেকে। এই ঘটনায় পরিবার থেকে নিখোঁজ ডাইরি করা হয় স্থানীয় থানায়। কিন্তু কোন খোঁজ মেলেনি অপরদিকে এই মানসিক ভারসাম্যহীন নলিনী দেবী কোনভাবে মেদিনীপুর জেলার এয়ার বেস কলাইকুন্ডার রেড জোনে ঢুকে পড়ে।হাই অ্যালার্ট এলাকায় ঢুকে পড়ার কারণে সেই দিনই তাকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় খড়গপুর লোকাল থানার তরফে 447 ইন্ডিয়ান পেনাল কোড সহ একাধিক ধারা রুজু করা হয়।কিন্তু মহিলার পরিবারের কোনও খোঁজ মেলেনি।এরপর 2018 সালে মেদিনীপুর আদালত ওই গৃহবধূকে জামিন দেয়।কিন্তু জামিন পেলেও বেল বন্ড পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।তার পরিচয় পত্র চেয়ে উত্তরপ্রদেশের ঠিকানা পেয়ে পুলিশ উত্তরপ্রদেশে খোঁজ পাঠায়।
এরফলে জামিন পেলেও তিনি প্রায় 7 বছর ধরে বন্দি ছিলেন।একদিকে তার পরিবার খুঁজতে থাকে অন্যদিকে জেল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের লোকজনকে খুঁজতে থাকে।যদিও এই ঘটনায় মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়ায় মেদিনীপুর জেলা জর্জ কোর্টের DLSA (district legal services authority)সদ্য দায়িত্ব পাওয়া জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব শাহিদ পারভেজ গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন।তাঁরা খতিয়ে দেখে জানতে পারেন,ওই গৃহবধূর বাড়ি উত্তরপ্রদেশ না ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বাড়ি ওই নলিনি দেবীর।এরপর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়।অবশেষে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের খোঁজ মেলে। তাঁরা গৃহবধূকে শনাক্ত করেন। এদিন জামিন মুক্ত গৃহবধূকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ডিএলএসএ সচিব শাহিদ পারভেজ বলেন ওই গৃহবধূর ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে আমরা জানতে পারি ওনার ঠিকানা উত্তরপ্রদেশ না বরং ঝাড়খন্ডে।এরপরই আমরা খোঁজ লাগাই ওখানকার ডিএলএ এস এ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।তারপরই যোগাযোগ এবং ফিরিয়ে দেওয়া হল পরিবারের হাতে।
অন্যদিকে নলিনী চৌধুরীর স্বামী লালজী চৌধুরী বলেন এতদিন পর স্ত্রীকে পেয়ে খুশি আমরা।আমরা বহুবার হন্য হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি থানায় থানায়।আমাদেরকে ডিএলএসএ কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।