নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার আন্দোলনে নামতে চলেছে মেদিনীপুর কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।একটাই কারণ মুখ্যমন্ত্রীর সাসপেনশন অর্ডার সেই সঙ্গে FIR করার নির্দেশ।যার ফলে মেদিনীপুরে শুরু হলো উলট পুরান।আগামীকাল থেকে কর্ম বিরতি থাকবে অ্যানেস্থিসিয়া ও গাইনো এই দুটি ডিপার্টমেন্টের ২২ জন ডাক্তার ডাক্তার সহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।
এবার উলট পুরান। এতদিন ধরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু সেই সঙ্গে সদ্যজাতের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিটি এবং সিআইডি তদন্ত চলছিল।এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬ জন পিজিটি সহ ১২ ডাক্তার কে সাসপেন্ড এবং এফআইআর এর দরুন আন্দোলনের নামতে চলেছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের অ্যানেস্থিসিয়া ও গাইনোকোলজিস্ট এর দুটি ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র ডাক্তাররা।এরই পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগ দেবে মেডিকেল কলেজের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা।এই কর্ম বিরতির নাম দেওয়া আছে সিজ ওয়ার্ক।শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যোগদান করবেন তারা।যার জেরে নতুন করে দেখো উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত ৮ ই জানুয়ারি বুধবার ৫ প্রসূতি অপারেশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের গাফিলতি ও এক্সপায়ারি স্যালাইন দেওয়ার।যে ঘটনায় এক প্রসূতির মৃত্যু হতেই তড়িঘড়ি তাদের কলকাতায় রেফার করা হয়।বৃহস্পতিবার সকালে এক প্রসূতির সদ্যজাত শিশু সকালে মারা যায়।যদিও সেই ঘটনায় ১৩ জনের স্বাস্থ্য কমিটির রিপোর্ট সেই সঙ্গে সিআইডি তদন্তের যাবতীয় তথ্য এবং সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী এক সাংবাদিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে মেদিনীপুরের হাসপাতাল সুপার,একজন আরএমও সেই সঙ্গে ১২ জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করেন।
পাশাপাশি তাদের থানায় নামে এফআইআর করা নির্দেশ দেন।সেই তালিকায় রয়েছেন মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল,সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস, অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়,পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল,পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল,পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ,ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন, হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।চিকিৎসক দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই দিন হাসপাতালের বাইরে অস্ত্রোপচার করছিলেন।বাকিদের কাজে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।বিকেলের পর থেকেই প্রিন্সিপালের রুমে ভিড় করতে থাকে তারা।এরপর তারা রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন যতক্ষণ না সঠিক তদন্ত হয় এবং তাদের সাসপেনশন রদ করা হয় ততক্ষণ তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।আগামী কাল থেকে চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি।