নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
সকাল থেকে ঘিরে রেখেছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের কিন্তু তাতে উত্তর আসেনি।এরপর মেইল মারফত অভিযোগ জানান,তাতেও সদুত্তর মিলল না।বাধ্য এবার অনশন শুরু করল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।ফের নতুন করে উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এবার একটু আন্দোলনের বেগ বাড়ালো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়ার ডাক্তাররা।এদিন সারাদিন ধরে মেডিকেল স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ঘেরাওয়ের পর তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করেন। তারা বিভিন্ন দপ্তরে মেইল মারফত তারা আবেদন করেন তাদের সাসপেনশন অর্ডার প্রত্যাহার এবং অভিযোগ প্রত্যাহার করার।তাতেও যখন কোন সদুত্তর আসেনি তখন সকলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে গভীর রাত থেকে বসলেন অনশনে।এই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যতক্ষণ না তাদের ৬ জন পিজিটি সহ আবার নতুন করে একজন পিজিটিকে যোগ করায় মোট ৭ জন পিজিটি ডাক্তারের সাসপেনশন রদ না হবে ততক্ষণ তাদের এই অনশন তারা চালিয়ে যাবেন। যা নিয়ে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এদিন গভীর রাত থেকে গাইনো ও এনিস্থিসিয়া বিভাগের মোট ৩৮ জন জুনিয়র ডাক্তার এই অনশন শুরু করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঁচ অসুস্থ প্রসূতির মধ্যে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতি মৃত্যুতেই এই গন্ডগোলের সূত্রপাত তৈরি হয়।অভিযোগ ওঠে চিকিৎসার গাফিলতি ও স্যালাইনের বিষক্রিয়া।সেই ঘটনায় ৭ জন পিজিটি সহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুপার নিয়ে মোট ১২ জন ডাক্তারের নামে অভিযোগ জমা পড়ে, সঙ্গে সাসপেনশন অর্ডার।যদি এই দিন শ্বেতা সিং নামে আরেক পিজিটির নাম অন্তর্ভুক্ত হয় এই FIR এ। যে ঘটনার তদন্তভার চালাচ্ছে সিআইডি।এই তালিকায় রয়েছেন বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন,হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।
মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১ সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল,সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস,অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়, পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল,পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল,পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ,ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার ও শ্বেতা সিং(PGT)।