Midnapore CID:প্রসূতি মৃত্যুতে মেদিনীপুর হাসপাতালে সিআইডি টিম!সিআইডি তদন্ত হওয়ায় খুশি প্রসূতির পরিবার

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

প্রসূতি মৃত্যুতে স্বাস্থ্য কমিটিতেও আস্থা রাখলো না রাজ্য সরকার।এবার CID টিম এলো মেদিনীপুরে।তারা হাসপাতাল পরিদর্শনের পাশাপাশি কথা বলছেন সুপার এবং প্রিন্সিপালের সঙ্গে। অন্যদিকে সিআইডি তদন্ত হওয়ায় খুশি মৃত প্রসূতির পরিবার।তারা দাবি করেন যেন দোষীরা কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি পায়।

হাসপাতালে এক প্রসূতি মৃত্যু এবং চারজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় মেডিকেল টিমের পর এবার সিআইডি তদন্ত।যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে।প্রসঙ্গত,মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ,নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের।পাশাপাশি রোগীর পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতি রয়েছে তাদের প্রসূতিদের অপারেশনের ক্ষেত্রে।

সেই ঘটনার তদন্তে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।এইদিন সকালে সিআইডির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল হাসপাতালে পৌঁছয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকেরা।সূত্র অনুযায়ী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে।তারা তদন্ত করে প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দিয়েছে।

তার পরই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এই ঘটনায় আরও তদন্তের প্রয়োজন জানিয়েছিলেন।তিনি এও জানিয়ে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি সিআইডিও এই ঘটনার তদন্ত করবে।তাদের দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।তারপরই মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসেন সিআইডি আধিকারিকেরা। সূত্র অনুযায়ী খড়্গপুর থেকে প্রতিনিধিদলটি হাসপাতালে যায়।

সিআইডি-র আরও একটি দল তদন্ত করতে হাসপাতাল যাবে। ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে সেই দল সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্ত চালায়।সিআইডির দল এইদিন প্রথমেই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী এবং সুপার জয়ন্ত রাউতের সঙ্গে কথা বলে।খতিয়ে দেখে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি।

অন্যদিকে,তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মৃত প্রসূতি মামণি রুই দাসের স্বামী দেবাশিস রুইদাস। তিনি বলেন,‘‘আমরা তো জানি না। শুনেছি, রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিআইডি যেন ভাল ভাবে তদন্ত করে।কী ভাবে মৃত্যু হল মামণির,আমরাও তা জানতে চাই।সুস্থ ভাবে বাড়ি থেকে এসেছিল।ডাক্তারদের ভুল না,স্যালাইনের ভুল? এই সত্যটা আমরাও জানতে চাই।’’

এ প্রসঙ্গে দেবাশিসের দিদি রুম্পা দাস বলেন, ‘‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সত্যিটা উঠে আসুক।আমরা চাই দোষীরা কঠোর শাস্তি পাক।আর যেন কোনও সন্তানকে জন্মের পরই মাকে হারাতে না হয়।’’


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in