
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রসূতি মৃত্যু ও আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তির মধ্যেই নতুন নির্দেশিকা জারি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দীর। মুখ্য সচিবের সাংবাদিক বৈঠকের পরেই প্রিন্সিপাল নতুন নোটিশ জারি করেন।তাতে উল্লেখ করে দেন এবার অস্ত্রোপচার সিনিয়র চিকিৎসকরায় করবেন।জুনিয়াররা সহযোগী হিসেবে থাকবেন,নিয়ম-ভঙ্গ হলে কঠোর শাস্তি।


মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রসূতি মৃত্যুতে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।একদিকে রোগীর পরিবার যেমন অভিযোগ করেছিল এক্সপায়ারি স্যালাইন সেই সঙ্গে চিকিৎসার অব্যবস্থা অন্যদিকে তখন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ তার টিম পাঠিয়ে খতিয়ে দেখে একই কথাই বলে যাচ্ছেন। বকলমে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন সিনিয়ার ডাক্তারদের অনুপস্থিতির কারণেই এই চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটেছে।তারা এও স্বীকার করেছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের এই প্রসূতি মৃত্যু এবং আশঙ্কাজনক হওয়ার ক্ষেত্রে SOP(সময় নিয়ম) মানা হয়নি।এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে তিনি সিআইডি তদন্ত নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছেছে তারা,তদন্ত শুরু করেছে।তবে তার আগেই তড়িঘড়ি নির্দেশিকা জারি করল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

কেবলমাত্র চাপের মুখে পড়ে নতুন নির্দেশিকা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দীর। তাতে জারি করে বলেন,”আর জুনিয়র চিকিৎসক বা পিজিটি দিয়ে নয়, এবার অস্ত্রোপচার করতে হবে সিনিয়র ।কোনও পিজিটি বা জুনিয়র চিকিৎসকরা কোনও ধরনের অস্ত্রোপচার বা অ্যানাস্থেসিয়া করতে পারবেন না।জুনিয়ররা কেবল সহকারী হিসেবে থাকতে পারবেন।এরই পাশাপাশি এই নোটিসে বলা হয় নিয়ম ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র চিকিৎসককে শাস্তির কোপে পড়তে হবে।” যা নিয়ে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জেলায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমাতে পাঁচ প্রসূতির সন্তান প্রসব হয়।এই সন্তান প্রসবের পরেই প্রসূতিরা অসুস্থ বোধ করে। অভিযোগ ছিল তাদের প্রস্রাব নিঃসরণ হচ্ছে না সেই সঙ্গে রক্ত বন্ধ করা যায়নি।এর পরে তাদেরকে তড়িঘড়ি আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।যদি এই ঘটনায় রোগীর পরিবার ডাক্তারদের চিকিৎসার অবহেলা সেই সঙ্গে এক্সপায়ারী স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন লিখিতভাবে। সেই ঘটনায় শুক্রবার সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে।এরপরই নড়ে চড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তড়িঘড়ি তেরো জনের একটি টিম পাঠানো হয় কারণ খতিয়ে দেখতে।এরপরই তিন প্রসূতির অবস্থা আরো খারাপ হলে তাদের লাইভ সাপোর্ট ও গ্রীন করিডরের মধ্য দিয়ে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়।

যদি সে ঘটনায় গত সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সিনিয়র ডাক্তার নিয়ে মন্তব্য করেন।