নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে যা নিয়ে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য জেলায়।যদিও এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সমস্ত ওষুধ নষ্ট করে তদন্তের নির্দেশ মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খানের।তিনি বলেন এই ঘটনায় যারা জড়িত যদি প্রমাণিত হয় তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবার মেদিনীপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠলো মেদিনীপুর মানুষদের।এই অভিযোগ তুলেছেন মেদিনীপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্ডী প্রসাদ দত্ত।তার অভিযোগ,গত ২৮ শে অক্টোবর মেদিনীপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার দেখানোর পর তার প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধ লিখে দেওয়া হয়েছিল।গত দুদিন আগে সেই ওষুধ নিতে মেদিনীপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে যান চন্ডী প্রসাদ দত্ত।কিন্তু অভিযোগ তাকে যে ওষুধ দেওয়া হয় তা এক্সপায়ার্ড অর্থাৎ গত অক্টোবর মাসেই সময় অতিক্রান্ত হয়েছে ওষুধের।তিনি ওষুধ নিয়ে আসার পর বাড়িতে দেখেন সমস্ত ওষুধ গুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বিষয়টি জানান সংবাদ মাধ্যমের কাছে।তার বক্তব্য আমি ভাগ্যিস ওষুধগুলো খাইনি।হয়তো এরকম ওষুধ অনেকে নিয়ে গেছে খেয়ে ফেলেছে।আমার জামাই খতিয়ে দেখার পরই ওষুধ খাইনি,যাতে আমি বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছি।
যদিও এবিষয়ে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন,যাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে তিনি এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ জানায়নি। আমরা আপনাদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনেছি শুনেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় আমাদের তিনজনের একটি এনকোয়ারি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ থেকে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সেই সঙ্গে সাসপেন্ড পর্যন্ত করব।