নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এতদিন বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ বা গন্ডগোল সামলাতে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবহার করা হতো হ্যান্ড মাইক।তবে এবার পরিস্থিতি সামলাতে ব্যবহার করা হবে অ্যানাউন্সমেন্ট ড্রোন।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের 23 তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শেষ দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো ড্রোনটির।উদ্বোধন করলেন রাজ্যের ADG অশোক প্রসাদ।সাথে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
এবার রাজ্যে প্রথম টকিং ড্রোনের ব্যবহার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের আর যা এডভান্স টেকনোলজিতে আরেক ধাপ জঙ্গলমহল।মূলত এদিন ছিল জেলা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শেষ দিন আর শেষ দিনে অন্যান্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এই টকিং ড্রোনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের ADG অশোক প্রসাদ।এই টকিং ড্রোন বা অ্যানাউন্সমেন্ট ড্রোন আসলে কি?মূলত এর আগে যে কোন ল এন্ড অর্ডার পরিস্থিতিতে বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ মাইকিং ব্যবহার করত।এই হ্যান্ড মাইকের সাহায্যে তারা গন্ডগোল থামানোর জন্য নির্দেশিকা দিত এবং আবেদন করত। আর তাতে অনেকেই শুনতে পেতেন অনেকেই বাবার শুনতে পেতেন না। যার ফলে পুনরায় নতুন করে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হতো। সেই সমস্যা দূর করতে এবার অ্যাডভান্স টেকনোলজি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের।
এই টকিং ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে থেকেই গন্ডগোল থামাতে নির্দেশিকা দিতে পারবে পুলিশ কারণ এতে লাগানো আছে বড় স্পিকার সেই সঙ্গে ভালো ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা। যার ফলে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই ভিড় যেমন লক্ষ্য করা যাবে ঠিক তেমনি মেসেজ দেয়া যাবে সেই ভিড়কে।ফলে ক্ষতির কোন সম্মুখীন হবে না পুলিশ বাহিনী।এছাড়াও এই বর্ষার সময় এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয় দুর্যোগ মোকাবিলায় এই টকিং ড্রোন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হবে।কারণ প্রায় 70 মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে পারে এ ড্রোনটি। ফলে নজর দারির সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই ড্রোন।এই দিন একরকম মক টেস্টিং হয়ে গেল জেলা পুলিশ লাইনে।মাইকে করে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মেসেজ দিলেন পুলিশকর্তারা।
এদিন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান,”এই ড্রোনটি বিভিন্ন জায়গায় যেমন বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহার করা হবে।একই সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে। তিনি এও বলেন এই বিশেষ ক্ষমতার সম্পূর্ণ ড্রোনটি 70 মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারবে।যার ফলে একদিকে মাইকিং এর সুবিধা অন্যদিকে হাইডেফিনেশন ক্যামেরায় নজরদারি চালানো যাবে জেলার যেকোনো পরিবেশে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন গত ছ মাস ধরে নানাভাবে রিসার্চের পর এটিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত 23 শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।শেষ দিনে এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিধায়কের পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী,সাংসদ মিতালী বাগ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ বিশিষ্ট জনেরা।তবে রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর কাছে নানা ধরনের উন্নত প্রযুক্তি থাকলেও অ্যানাউন্সমেন্ট ড্রোনের ব্যবহার প্রথম করা হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।