
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
আরজি করের অভয়া কাণ্ড নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ জাতীয় মহিলা কমিশনের। মহিলা কমিশন সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন CBI এর পারফরমেন্সে আশাহত আমি,আরও তদন্ত হওয়া উচিত ছিল।তিনি প্রশ্ন করেন কেন তবে বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হলো পাশাপাশি চটজলদি বডি টা পুড়ানো হলো কেন?

গতকাল শনিবার ছিল আর জি কর কাণ্ডের রায় আর তাতেই সঞ্জয়কেই দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। যদিও এই আদালতের রায়ে ভেঙে পড়ে সঞ্জয়।অভিযুক্ত সঞ্জয় বলেছে যে এই ঘটনায় সে দোষী নয়,তাকে ফাঁসানো হয়েছে।আর যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।যদিও এদিন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে মেডিকেল কলেজের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখতে এসে আরজিকরের ঘটনায় সিবিআই এর ভূমিকা নিয়ে আশাহত প্রকাশ করল জাতীয় মহিলা কমিশন।কমিশন সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন,”একটি ডাক্তার মেয়ে যে ভাবে খুন হয়েছে তা বেদনাদায়ক।

আমরা আয়োগ থেকে অনেক কাজ করেছি।সিবিআই রিপোর্ট দেওয়া নিয়ে বলেন CBI সমস্ত রিপোর্ট দিয়েছে,তবে আর কিছু বাকি আছে কি না জানিনা।ফাইনাল চার্জশিটের সঙ্গে আরও কিছু দেবে কি না জানি না।তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সিবিআই এর পারফরমেন্সে আশাহত।কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেন আরও ইনভেস্টিগেশন করা উচিত ছিল। যদি ধরেই নেওয়া যায় একজন সঞ্জয় এই ঘটনার মূল কারণ কি তবে কেন তড়িঘড়ি বিল্ডিং ভাঙ্গা হলো,কেন মা বাবা কে এড়িয়ে চটজলদির বডিটা পুড়িয়ে দেওয়া হলো। এই জিনিসগুলোই প্রমাণ করে “Some Influences working”।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঁচ অসুস্থ প্রসূতি হলো মাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯), মিনারা বিবি (৩১),রেখা সাউ(২৩) ও মামনি রুইদাস।যার মধ্যে মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে গত শুক্রবার।বাকি মাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯), মিনারা বিবি (৩১) কলকাতার SSKM এ ভর্তি রয়েছে।পাশাপাশি অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাউ ভর্তি রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে।অভিযোগ ছিল এক্সপায়ার স্যালাইন ও চিকিৎসার গাফিলতিতেই মাল্টি-অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয় এই মামনির।


এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখতে জাতীয় মহিলা কমিশন আসে মেদিনীপুরে।