National Commission: কারো স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তার দের!খতিয়ে দেখে মন্তব্য জাতীয় মহিলা কমিশনের, প্রশ্ন তুললেন ফ্রুইড নিয়ে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু সেই সঙ্গে স্যালাইন কাণ্ডে খতিয়ে দেখতে মেদিনীপুর এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দল।জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে অর্চনা মজুমদার এদিন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রিন্সিপাল সুপার সহ সেদিনের ঘটনা যারা অপারেশন করেছিলেন তাদের সঙ্গে এক প্রস্থ কথা বলেন।পরিদর্শন করেন মাতৃমা এবং মৃত মামনির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।সন্ধ্যে নাগাদ SSKM গিয়ে বাকি অসুস্থ প্রসূতিদের দেখা করার কথা রয়েছে এই জাতীয় মহিলা কমিশনের।

গত বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ৫ প্রসূতি যে ঘটনা এক প্রসূতি মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে রাজ্য রাজনীতি।এই ঘটনায় তড়িঘড়ি ১৩ জনের একটি স্বাস্থ্য টিম পাঠায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তেরি পাশাপাশি মুখ্য সচিব টাকে একটি সিআইডিতে পাঠানো হয়।তবে তারপরও মৃত্যু হয়েছে এক সদ্যজাত শিশুর। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আবার অভিযোগ ওঠে ফাঙ্গাশ ভর্তি স্যালাইন।এই ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য সহ দেশ।এবার এই প্রসূতি মৃত্যু এবং সদ্যজাতের মৃত্যু সেই সঙ্গে স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে খতিয়ে দেখতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এল জাতীয় মহিলা কমিশন।এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে সাড়ে এগারোটা নাগাদ আসেন।এসেই তারা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী,সুপার ইন্দ্রনীল সেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারীদের সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকে বসেন।

পুরো ঘটনা আর পুঙ্খানুপুঙ্খ তিনি খতিয়ে রাখেন।এদিন এই বৈঠকে গত ৯ জানুয়ারির সেই প্রসূতি অপারেশনের ঘটনায় যারা যারা যুক্ত ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।এই বৈঠকের পরেই তার মাতৃমা পরিদর্শন সেই সঙ্গে মৃত প্রসূতির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।পাশাপাশি তিনি SSKM গিয়ে বাকি অসুস্থ তিন প্রসূতি কে দেখে আসবেন বলে সূত্র অনুযায়ী জানা যায়। তবে বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি জুনিয়রদের পক্ষ হয়েই মত প্রকাশ করেন।তিনি এও বলেন জুনিয়রদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঁচ অসুস্থ প্রসূতি হলো মাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯), মিনারা বিবি (৩১),রেখা সাউ(২৩) ও মামনি রুইদাস।যার মধ্যে মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে গত শুক্রবার।বাকিমাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯), মিনারা বিবি (৩১) কলকাতার SSKM এ ভর্তি রয়েছে।পাশাপাশি অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাউ ভর্তি রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে।অভিযোগ ছিল এক্সপায়ার স্যালাইন ও চিকিৎসার গাফিলতিতেই মাল্টি-অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয় এই মামনির।সেই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত হয়।সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিম পাঠানো হয় রাজ্য সরকার থেকে। তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সুপার সহ মোট ১২ জন ডাক্তার,পিজিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন।যেই অভিযোগ কোতোয়ালিতে হওয়ার পরেই তদন্ত ভার তুলে নেয় সিআইডি।

এই তালিকায় রয়েছেন মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল,সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস,অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়,পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল,পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল, পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ,ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন,হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in