Remedial Coaching: শিশুদের ফ্রী তে “Remedial কোচিং”জয় প্রকাশ ইন্সটিটিউটের!5 টি জেলায় তাদের এই কোচিং

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

দীর্ঘ লকডাউনে পড়াশোনা থেকে বিমুখ রাজ্যের শিশুরা, সেই অবস্থায় পরিপূরক বা প্রতিকার মূলক (Remedial)কোচিং শুরু করেছিল জয় প্রকাশ ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল চেঞ্জ কলকাতার শিক্ষকেরা।আর তাতেই পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে রাজ্যের শিশুরা।এরকমই তথ্য প্রকাশ করল এই ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা।

মূলত এইদিন এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয় এই সংস্থার তরফ থেকে।সেই বৈঠকে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা।প্রসঙ্গত ১৯৭৩ সাল থেকে পথ চলা শুরু হয় এই জয় প্রকাশ ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল চেঞ্জ কলকাতার।এরপর তারা দীর্ঘ কাজ করে চলে।গত covid মহামারীতে তাদের কাজের হার বেড়ে যায়।খতিয়ে দেখা যায় যে এই সময় যেহেতু স্কুল কলেজ এবং ছোট ছোট বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে যায় তাই শিশুরা পড়াশোনা থেকে বিচ্যুতি ঘটে।এই অবস্থায় এই সংস্থা থেকে শুরু করে পরিপূরক (Remedial)কোচিং সেন্টার।শুধু একটি জেলা নয়,বীরভূম,বর্ধমান,মেদিনীপুর মিলিয়ে প্রায় ৫ টি জেলায় বিভিন্ন ফেজে ফেজে তারা এই কাজ করে।আর এই কাজে তাদের অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু এলাকার শিক্ষিত যুবক যুবতী।

এলাকায় তারা শুধু কোচিং ক্লাস শিশুদের করিয়েছে তা নয় এরই সঙ্গে তাদের বাবা মায়েদেরও কোচিং করানো হয়েছে যাতে শিশু কি কোন ভাবে পড়াশুনা থেকে অমনোযোগী হয়ে না উঠে।কারণ এই মহামারীর সময় সমস্যা হয়েছিল ক্লাস করানোর।একটা মোবাইল না থাকার প্রবণতা সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের অভিযোগ ছিল যে সকল পরিবারে একটা করে মিনিমাম এন্ড্রয়েড মোবাইল তুলে দেওয়া।যাতে অভিভাবকের মোবাইল থেকেও এই বাচ্চারা পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারে।ইতিমধ্যে এই সংস্থা মেদিনীপুরের রুরাল ও আরবান এরিয়ায় এই কোচিং করাচ্ছেন।খড়্গপুরের খেলাড় এলাকায় চলছে কোচিং।যে কোচিং এর মাধ্যমে শিশুদের পড়াশোনা এবং মানসিকতার বিকাশ ঘটানো হচ্ছে।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কো অর্ডিনেটর সমাপ্ত মাইতি,কাউন্সিলার বিশ্বনাথ সামন্ত,ভলেন্টিয়ার সিবেশ কুইলা,অন্তরা সরকার,কৃষ্ণপদ দলুই,ঋতু মাহাত,নিতাই সাহা,উজ্জ্বল মন্ডল,সোমা দাস প্রমুখ।

ঐদিন এ বিষয়ে সংস্থার কো অর্ডিনেটর সমাপ্ত মাইতি বলেন এই ইনস্টিউটের উদ্দেশ্যই হলো সমাজের উন্নতি সাধন করা।আর তার একটা অঙ্গ হিসেবেই হল Remedial কোচিং।আমাদের এই সংস্থা সমস্ত জায়গায় শিশুদের মানসিকতার বিকাশ ঘটাচ্ছে।আগামী দিনে শিশুদের মানসিকতা আরো বৃদ্ধি হোক এবং তার বাবা মায়েরা আরো স্বাবলম্বী হয়ে তাদের পাশে থাক দাঁড়াক এটাই আমরা চাই।


Share

dnews.in