Midnapore Hospital: ফের অসুস্থ মামনির পুত্র,ভর্তি হল মেদিনীপুর মেডিক্যালে!প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসার মান নিয়ে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

কুড়ি দিনের মাথায় ফের অসুস্থ মৃত মামনি রুইদাসের সন্তান।তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হলো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।যদিও এই নিয়ে মৃত মামনি রুইদাসের স্বামী ক্ষুব্ধ হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সঠিক মতো বাচ্চা মায়ের দুধ না পাওয়ার জন্যই বারেবারে পেটের সমস্যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

আবার অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হল মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের পুত্র।যা নিয়ে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য মেদিনীপুর মেডিকেলে।প্রসঙ্গত,জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে বাচ্চার জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ৫ প্রসূতি। যা নিয়ে রীতিমতো কাঠগড়ায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল।একে একে পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হওয়ার পরই এক প্রসূতি মারা যায়।তড়িঘড়ি বাকি তিন প্রসূতি কে কলকাতায় রেফার করা হয়।যেই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সহ দেশের শিরোনামে চলে আসে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।অভিযোগ উঠে চিকিৎসার গাফিলতি এবং বিষক্রিয়া স্যালাইনের।যদিও সেই ঘটনায় তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য দপ্তরের টিমের পাশাপাশি সিআইডিকে লাগায় তদন্তে।

তাদের তদন্তের উপর ভিত্তি করে ১৩ জন ডাক্তারের সাসপেনশন এবং অভিযোগও দায়ের হয়।যা নিয়ে পাল্টা হাইকোর্টে মামলা করে এক জুনিয়ার ডাক্তার।সেই মামলা এখন হাইকোর্টে চলছে।যদিও এরপরই রেখা সাউ নামে এক অসুস্থ প্রসূতির শিশু মারা যায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।যা নিয়ে উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।আর তার দুদিনের মাথায় নতুন করে মামনির রুইদাসের শিশু অসুস্থ হলে তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কাজে ভর্তি করা হয় এবং ট্রিটমেন্টের দুদিন পরেই তাকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তাতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মত ছিল পেটের সমস্যার জন্য ভর্তি হয়েছিল করা হয়েছিল শিশুকে।কারণ সে ঠিকমতো মায়ের দুধ পায়নি।আবার বাচ্চার জন্মের ফের কুড়ি দিনের মাথায় ভর্তি করা হলো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে।গতকাল রাতে অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে চন্দ্রকোনা হাসপাতালে এরপর তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।যদিও সে এখন ট্রিটমেন্টে রয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে খবর,জন্মের পর থেকে মায়ের দুধ পায়নি শিশুটি।সে কারণে তার শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।এই নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষের বক্তব্য ‘‘পেটের সমস্যা হয়েছিল শিশুটির।এখন সুস্থ রয়েছে সে।বাড়ির লোককে বোঝানো হচ্ছে,যাতে বাইরের খাবার কম খাওয়ানো যায়।”

যদিও মৃত স্বামী দেবাশীষ রুইদাসের বক্তব্য বাচ্চাটি প্রথম থেকে অসুস্থ ছিল।প্রথমবার ভর্তি করার পরে ডাক্তারদেরকে ট্রিটমেন্ট করে ছেড়ে দেয়। আবার গতকাল অসুস্থ হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেলে। কি এমন চিকিৎসা করছে বুঝতে পারছি না।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in