স্নায়ুর বিরল রোগে(SMA) আক্রান্ত হয়েও আয়ুস বড় হয়ে হতে চায় স্পেস সাইন্টিস্ট! 5 কোটির ঔষধের জন্য এক এক টাকার আবেদন পরিবারের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

বিজ্ঞানী স্টিফেন উইলিয়াম হকিংস নাম কে না চেনে।এক ডাকেই এই বিজ্ঞানী কে চেনে তার প্রতিভার জন্য যা গোটা বিশ্ব পরিচিত।শুধু হুইল চেয়ারে বসেই তিনি নাম ডাক নিজের ট্যালেন্ট এর উপরেই ছড়িয়ে-ঘুরিয়েছেন গোটা বিশ্বজুড়ে। ঠিক এভাবেই নয় বছরের ছোট্ট আয়ুষ মান্না,বিভিন্ন ট্যালেন্টের অধিকারী।তবলা বাজানো,ছবি আঁকা,হাতের লেখা সঙ্গে কবিতা ও গান করাতে আয়ুষ-মাহির।এছাড়াও প্রতিদিন সে মোবাইলে যুগের শিখছে জেনারেল নলেজ সহ বিশ্ব দুনিয়ার বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর এবং সে আপ্ত করে ফেলেছে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ডাইনোসরের বাহান্ন হাজার প্রজাতির জীবন কাহিনী।

তাকে প্রশ্ন করলেই গড়গড় করে বলতে শুরু করে ডাইনোসরের সূত্রপাত কিভাবে? পৃথিবীতে আশা কত দিন! তাদের বেঁচে থাকা সঙ্গে ভিন্ন রকম প্রজাতির তাদের হাইট তার চরিত্র তার খাদ্যভ্যাস একনাগাড়ে বলে চলছে এই ক্লাস তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।কিন্তু নয় বছরের তরতাজা আয়ুষ কে উঠতে দেয়নি তার বিরল স্নায়ুর রোগ। প্রথমেই ধরা পড়েনি সেই রোগ আস্তে আস্তে বড় হবার পরেই এই রোগ ধরা পড়ে এবং এই রোগ সারাতে শুধু লক্ষ লক্ষ টাকা নয় কোটি কোটি টাকার দরকার। ১৮ কোটি টাকা একসাথে পাওয়া গেলে এই রোগের ঔষধ মিলবে। যাতে এই শরীরে আরও ১৫ বছর আয়ুষ কে রাখা যেতে পারে। এখনই ৫ কোটি টাকার ওষুধ দরকার। যেই ওষুধে আয়ুষ আগামী কয়েক মাস বেঁচে থাকতে পারবে।এই বিরল স্নায়ুর রোগের নাম Spinal muscular atrophy (SMA)।এই রোগ সাধারণত বিরল। এই কারণেই গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০০ জনের।আর এই ছোট্ট আয়ুষ টলোমলো পায়ে বন্দি হুইল চেয়ারে। আয়ুষ কোনভাবেই থেমে থাকে নি।তার ইচ্ছা শক্তির প্রভাবে আর বাবা-মা ও এক ফিজিওথেরাপিস্টের চেষ্টায় এগিয়ে চলেছে স্পেস সায়েন্টিস্ট হওয়ার দিকে।

তবে আয়ুষের ওষুধের টাকা কোথা থেকে আসবে,সেই চিন্তায় মগ্ন তার পরিবার। ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করা বাবা পীযুষ মান্না ও মা সুদীপ্তা মান্না একজন হাউসওয়াইফ তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার।এই বিরল ওষুধের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছে এই মান্না পরিবার। প্রথমে যদিও টাকা সংস্থান নিয়ে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল পরবর্তীকালে অনেকে এগিয়ে আশায় অনেকটা সমাধান হয়েছে তবে বর্তমানে পাঁচ কোটি টাকা সংস্থান করতে গিয়েই আঁতকে উঠছে এই পরিবার।আয়ুষের নামে একটি সোশ্যাল সাইটে পেজ খোলা হয়েছে যেখানে আবেদন করা হয়েছে দয়া করে এক টাকা দিয়ে হলেও আয়ুষ কে বাঁচিয়ে রাখুন আপনারা। সেই কাতর আবেদনে সাড়া দিয়ে সোশ্যাল সাইটে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এগিয়ে আসতে চাইছেন।তবে প্রচারের আলো না পাওয়ায় পাঁচ কোটি সংস্থানে আতঙ্কিত এই পরিবার চাইছেন অন্তত এক টাকা করে হলেও সাহায্য।


Share

dnews.in