নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :
মেদিনীপুরে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।এদিন তিনি সেই কর্মসূচি যোগদানের পর বিকেল সন্ধ্যে নাগাদ সাংবাদিক মুখোমুখি হন। মূলত এই দিন বিভিন্ন রাজ্যের বিষয় নিয়েই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কটাক্ষ করেন। তিনি উল্লেখ করেন দুর্গাপুর থেকে ইস্পাত কারখানা প্রসঙ্গ সরিয়ে দেওয়ার জন্যই সম্প্রতি শালবনীতে শিল্প ইস্পাত শিল্প হবে বলে স্পেন থেকে ঘোষণা করেছেন বাংলার ক্রিকেটের যুবরাজ সৌরভ গাঙ্গুলী।
যদিও সেই ঘোষণাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে শুরু হয়েছে নতুন করে শিল্প এবং শিল্পে যোগদানকারী বিভিন্ন মানুষের প্রতিক্রিয়া।
কেননা এই ইস্পাত শিল্প এখানে হলে যেমন একদিকে জমি দাতারা তার ক্ষতিপূরণ এবং মূল্য পাবেন অপরদিকে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সৌরভ গাঙ্গুলীর ঘোষণা মত এখন আশায় বুক বাঁধছে শালবনি।
কিন্তু এই দিন মেদিনীপুরে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে বর্তমান তৃণমূল স্লিপিং জমি দাতাদের এক হাত নিলেন সিপিএম নেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি শালবনীতে সৌরভের ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন সৌরভ গাঙ্গুলী ইস্পাত শিল্প করতেই পারে এতে খারাপ কিছু দেখছি না।কিন্তু যারা মূলত প্রমোটারি করে তাদের প্রোমোটার বলে। শিল্প করে শিল্পপতিরা। সৌরভ সেক্ষেত্রে প্রোমোটার না।তিনি TMT বার নামক বিজ্ঞাপনে অ্যাড দেন।বিশেষ করে তিনি বিগত দিনের শিল্প স্থাপন নিয়ে বামেদের কার্যকারিতা বোঝাতে কে বলেন বিগত দিনে এই শালবনিতে টাটা জিন্দাল কারখানা গড়তে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্য ও কেন্দ্র জিন্দাল প্রকল্প হতে চেয়েছিল এই শালবনিতে কিন্তু তৎকালীন সময়ে তিনি যখন ফিরছিলেন সেই সময়ের মাবাদীদের দ্বারা ল্যান্ডমাইনে আক্রান্ত হয় তার কনভয় অল্পের জন্য রক্ষা পান মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ।অনেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন সেই ল্যান্ড মাইনে।সেক্ষেত্রে তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিন্দুমাত্রও প্রতিবাদ করেননি। তিনি একটা কথা বলেননি যে এইটা অন্যায় বা ঠিক নয় অথবা মানুষের প্রাণ নেওয়া কখনো উচিত না।এর থেকে বোঝা যায় এখানে তৃণমূল শিল্প করতে কতটা আগ্রহী।এরপরে তিনি শালবনীতে জট নিয়ে তৃণমূল জমিদাতাদের কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন এখানে কিছু তৃণমূলের স্লিপিং পার্টনার রয়েছে যারা এই ধরনের শিল্পের ঘোষনা হলেই ১০% টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিজেরাও ঘোষণা করে যে তারা শিল্প করতে জমি পাইয়ে দেব শিল্পপতিদের,কিন্তু পরবর্তীকালে তা হয় না। মূলত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোথাও শিল্প স্থাপন হয় না। তাই এদেরকে স্লিপিং পার্টনার বলা হয়। যদিও শিল্প নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি এও বলেন তৃণমূলের পাশাপাশি দায়ী কেন্দ্র সরকার। কারণ কেন্দ্র সরকার শিল্প করতে চাই কিন্তু রাজ্য সরকার শুধু জমি দিচ্ছে না অভিযোগ বলেই দায় এড়িয়েছেন।আর তাতেই শিল্পের যেমন ঘোষণা করছেন তেমনি জমি দিচ্ছে না বলে দায় এড়িয়ে মানুষকে এক রকম বিভ্রান্ত করে রেখেছেন।