নিজস্ব প্রতিনিধি,বেলদা:
সমস্ত রকম বিতর্কে জল ঢেলে দিয়ে একই মঞ্চে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ।শুধু মঞ্চে বসে থাকলেন তা নয়,পরস্পর করলেন কোলাকুলি পিঠে চাপড়ে দিলেন বাহবা।যদিও শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন গীতা হল আমাদের সাইন্স।আমাদের সাইন্সে কখনো হিংসা ও বিভেদের জায়গা নেই।
এক সময় একে অপরকে সহ্য করতে পারতেন না,চলতো নানা রকম বিতর্কমূলক মন্তব্য।আর তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়া দু ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল বিজেপিকে।কিন্তু এবার একই মঞ্চে দেখা গেল কোলাকুলি করতে।একদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ।পরস্পরকে দেখে দুজনে এগিয়ে এলেন, কোলাকুলি করলেন,পিঠে হাত চাপড়ে বাহবা দিলেন আর তার সাক্ষী থাকলো বেলদার মানুষ জন। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় এই দিন মেদিনীপুর জেলার শেষ প্রান্ত বেলদায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ থেকে সহস্র মঞ্চে গীতা পাঠের কর্মসূচি নেওয়া হয়।সেই সেই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা এবং মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।প্রথমে শ্রদ্ধা জানানোর পরই দুজনে এগিয়ে আসেন এবং কোলাকুলি করেন। যা নিয়ে এক প্রকার অবাক হয়েছে রাজনৈতিক মহল।এরপর মঞ্চ থেকে নামার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন তৃণমূলের এই সংহতি মিছিল নিয়ে যার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর বাবুর বক্তব্য যেসব লোক বাংলায় সংহতির নাম করে বিভেদ বাঁধানোর চেষ্টা করছে তাদেরকে এই প্রশ্নটা আপনারা করুন,আপনারা উত্তর পেয়ে যাবেন। তিনি এ বলেন হিন্দু ধর্মে কোন দাঙ্গা অশান্তি এবং বিভেদের কোন স্কোপ নেই।ভাগবত গীতা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন আপনারা গীতা পড়ে নিন।গীতা একটা সায়েন্স।এছাড়াও গীতা,বেদ,উপনিষদরামচরিত মানস, হনুমান চল্লিশা যা আমাদের ধর্মগ্রন্থ।সেই গ্রন্থে কোথাও বিভেদ বা হিংসার জায়গা নেই,লেখাও নেই।পাশাপাশি তিনি এও বলেন আমরা আর স্বামী বিবেকানন্দের নিয়ম এবং ডিসিপ্লিন মেনে চলি।স্বামী বিবেকানন্দ আমাদেরকে শিখিয়েছে।যে নিজের ধর্মকে রক্ষা করতে এবং অপর ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়।আমরা সেই কাজই করে থাকি।যদিও লাল বাজারের সতর্কতা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে শুভেন্দু বাবু এক বাক্যে উত্তর দেন উনাদের প্রশ্ন করুন বলেই তিনি এড়িয়ে যান।যদিও সাংবাদিকরা সংহতি যাত্রা কি বিভেদ যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করলে শুভেন্দু বাবু একটু রেগে গিয়ে বলেন বারবার ধরে একই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না বলেই তিনি মঞ্চ ছাড়েন।