নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতিরাজ মেদিনীপুর শহরে।কয়েক ঘন্টা লোডশেডিং করে জেসিবি মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলা হলো পরপর তিনটে দোকান আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য শহরজুড়ে। যদিও তদন্ত এবং সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আসেন পুলিশ সুপার খোদ নিজে এবং গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়ে যান।
এই শীতকালে গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী মেদিনীপুর শহরের ব্যস্তবহুল এলাকায় বন্দুক নিয়ে হুমকি এবং জেসিবি দিয়ে একাধিক দোকান ভাঙচুর।যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ানো মেদিনীপুর শহরে।ঘটনাক্রমে জানা যায় শনিবার রাত দুটো আড়াইটা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতি মেদিনীপুর শহরের সংলগ্ন সিনেমার পাশে কয়েকটি দোকান ভাঙচুর চালায়।রীতিমতো দু-দুটো বুলডোজার নিয়ে চলে এক প্রস্থ ভাঙচুর পর্ব।হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বড় বড় দোকান।এরপর তারা বন্দুক নিয়ে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ায় এলাকায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়।যদিও সকাল হতেই সেই দোকান ভাঙচুর দেখতে হাজির হন জেলার মানুষ এরই সঙ্গে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসে পুলিশ প্রশাসন মেদিনীপুর পৌরসভা সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।তারা খতিয়ে দেখে কারণ। যদিও কি কারণে এই দোকান ভাঙচুর করা হলো বড় বড় জেসিবি দিয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শহরবাসীর মধ্যে। বেলা বাড়তেই এই ঘটনা তদন্ত সরজমিনে খতিয়ে দেখতে দৌড়ে এলেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দেন। যদিও এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মেদিনীপুর পৌরসভা। মেদিনীপুর পৌরসভা দাবি করে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কিছু না বললেও এক পুলিশ আধিকারিকের মতে রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে নিজের মধ্যে দ্বন্দ্বের।যদিও বাইরের কোন দুষ্কৃতির কাজ নয়,তবে আমরা খতিয়ে দেখছি।
প্রসঙ্গত একসময় এই জায়গায় ছিল একটি সিনেমা হল। এরপর দীর্ঘদিন বন্ধ এই সিনেমা হল।তারই পার্শ্বস্থ জায়গা নিয়েই লেগেছিল কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব।সূত্র অনুযায়ী জানা যায় তাদের মধ্যে কেউই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।তবে কারা ঘটিয়েছে বা কেন ঘটিয়েছে তা যতক্ষণ না তদন্ত করে পুলিশ খতিয়ে দেখছে তা জানা যাবে না।যদিও সূত্র অনুযায়ী জানা যায় শেষ পুলিশ দুই দুষ্কৃতি কে আটক করে জেরা করছে।
সৌরভ সাউ নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বলেন রাতের অন্ধকারে কিছু দুষ্কৃতি মানুষ এই ধরনের কাণ্ডকারখানা করছে।আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।আমাদের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার মতন ক্ষতি হয়েছে। আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ এরই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
এ বিষয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন রাতের অন্ধকারে কয়েকজন দুষ্কৃতি দোকান দখলদারি নেওয়ার জন্য বন্দুক নিয়ে এসেই এই কাণ্ডকারখানা চালায় আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা করছি।এর সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।সেই সঙ্গে এই দোকান ভাঙচুর করার জন্য যে জেসিবি মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলোকেও বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। মেদিনীপুরে এই ধরনের দুষ্কৃতীরা আজ চলতে দেওয়া যাবে না। রাতের অন্ধকারে লোডশেডিং করে এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।