নিজস্ব প্রতিনিধি,ডেবরা:
এখনো জলমগ্ন পরিস্থিতি ডেবরার চককৃপাণ এলাকা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সরকারিভাবে ত্রাণ না পেয়ে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।এই দুর্গত মানুষের সাহায্যে এবার পাশে এসে দাঁড়ালো মেদিনীপুর রিয়েল এস্টেট ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশন। এদিন তারা একটি বড় প্যাকেটে করে শুকনো মুড়ি,বিস্কুট চানাচুর,দুধের,প্যাকেট সহ কেক নিয়ে হাজির হন।প্রায় হাজার দুয়েক প্যাকেট তারা গ্রামের অসহায় মানুষের মধ্যে বিলি করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তাদের ত্রাণ পেয়ে খুশি এলাকার অসহায় মানুষজন।
গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি সেই সঙ্গে ডিভিসি ছাড়া জলে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের পাশাপাশি ডেবরা এলাকা।হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন আবার বহু মানুষ না খেতে পেয়ে দিন কাটাচ্ছে এলাকায়।যদিও রীতিমত এখন জল সেভাবে পুরোপুরি নেমে যায়নি তবে পরিস্থিতির স্বাভাবিকের পথে।অন্যদিকে বাড়ি ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবার।এবার এই বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালো মেদিনীপুর রিয়েল এস্টেট ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশন।এদিন তারা গাড়িতে করে মুড়ি,চিড়া বিস্কুট,চানাচুর সহ দুধের প্যাকেট এবং শুকনো খাবারের প্যাকেট করে হাজির সংশ্লিষ্ট এলাকায়।এরপর ডেবরার চককৃপাণ এলাকায় গিয়ে রীতিমতো তালিকা তৈরি করে একে একে সবার হাতে ত্রাণ তুলে দেন দু গাড়িতে প্রায় ২০০০ প্যাকেট ত্রাণ পৌঁছে দেন এই এসোসিয়েশনের সদস্যরা।এই দুঃসময়ে শুকনো খাবারের প্যাকেট পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।তাদের অভিযোগ এই অসহায় পরিস্থিতিতে সরকারি ভাবে কোন সাহায্য মেলেনি।যেটুকু মিলেছে এই সংগঠন থেকে।এই ত্রাণ অনেকটাই সাহায্য করবে দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য।এই দিনের এই ত্রাণ বিলিতে হাত লাগান শান্তনু চক্রবর্তী,সুদীপ্ত বোস,অঙ্কুর লোধা, আনোয়ার হোসেন,বিজয় দাস,অনুপ সিং,ইমরান খান সহ অন্যান্যরা।এই ত্রাণ বিলিতে এইদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সুমন চ্যাটার্জি।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য সুদীপ্ত বোস বলেন,”আমরা এখানে এসে দেখেছি,এখানকার বানভাসী মানুষ খুব দুর্যোগ এবং অসহায় ভাবে রয়েছে।তাই আমাদের তরফ থেকে একটা ছোট্ট উদ্যোগ।যে উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা প্যাকেটে করে বেশ কিছু শুকনো খাবার নিয়ে এসেছি তাদের জন্য।সেগুলো আজ আমরা বিলি করলাম।আমরা দেখছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও একটি যদি ক্যাম্প করে এই ধরনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। কারণ এই অসহায় পরিবেশে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কাজ।অন্যদিকে অন্যতম সদস্য শান্তনু চক্রবর্তী বলেন,” আমরা যেমন মেদিনীপুরের মানুষের জন্য নতুন স্বপ্ন পূরণ করি সেই সঙ্গে আমরা দুর্গত মানুষের সাহায্য করে জন্য সর্বদাই তৎপর।এই বানভাসী মানুষের জন্য আমরা ছোট্ট একটি প্রচেষ্টায় এ কাজ সম্পূর্ণ করেছে।আগামী দিনে প্রয়োজন হলে আমরা আবার পাশে দাঁড়াবো ওই অসহায় দুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য।