নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মুখ্যমন্ত্রীর হাইকোর্টে যাওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য এইসব ড্রামা বাজি করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা।পাশাপাশি জুনিয়ার ডাক্তারদের সাসপেনশন এবং অভিযোগ প্রত্যাহার সহ অসুস্থ প্রসূতিদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এবার নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে মিছিল করল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভেজাল স্যালাইন কাণ্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের গ্রেফতারের দাবি সেইসঙ্গে ডাক্তারদের সাসপেন্ড ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতি পূরনের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ডাকে বিরোধী দলনেতার মিছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে।এদিন কয়েকশ কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে তিনি মিছিল করলেন মেদিনীপুর শহরের রিংরোড এলাকায়।যে মিছিল থেকে স্লোগান উঠে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ।পাশাপাশি সাসপেনশন এবং অভিযোগ থেকে মুক্ত করতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।মৃত প্রসূতির পরিবার কে ক্ষতিপূরণ দিতে ৫০ লক্ষ টাকা। এই নিয়েই শহরজুড়ে মিছিল বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
তবে মিছিল শুরুর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”এই ডাক্তাররা হলো জাতীয় সম্পদ তাদেরকে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তাদেরকে বলির পাঁঠা করা যাবে না।যেখানে বিষক্রিয়া স্যালাইন যার জন্যই মৃত্যু ঘটেছে সেই প্রসূতির।সেই ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।পাশাপাশি মৃত প্রসূতির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।পাশাপাশি বাকি অসুস্থ প্রসূতিদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।এরপর আরজিকর কান্ডে সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এসব ড্রামা বাজি করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঁচ অসুস্থ প্রসূতির মধ্যে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতি মৃত্যুতেই এই গন্ডগোলের সূত্রপাত তৈরি হয়।অভিযোগ ওঠে চিকিৎসার গাফিলতি ও স্যালাইনের বিষক্রিয়া।সেই ঘটনায় ৭ জন পিজিটি সহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুপার নিয়ে মোট ১২ জন ডাক্তারের নামে অভিযোগ জমা পড়ে, সঙ্গে সাসপেনশন অর্ডার।যদি এই দিন শ্বেতা সিং নামে আরেক পিজিটির নাম অন্তর্ভুক্ত হয় এই FIR এ। যে ঘটনার তদন্তভার চালাচ্ছে সিআইডি।এই তালিকায় রয়েছেন বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন,হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।
মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১ সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল, সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস,অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়, পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল,পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল,পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ,ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার ও শ্বেতা সিং(PGT)। গত শনিবার রাত থেকে তোষক,মাদুর পেতে রীতিমতো কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন এই ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র ডাক্তাররা।