নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
আজ লক্ষ্মীপুজো। ভোরবেলা থেকে শুরু হয়েছে পুজো।এই পুজো চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।কিন্তু কেউ কি জানে লক্ষ্মীর সঙ্গে আজকে সরস্বতী পুজো।কেন না সেই রকমই পূজো হচ্ছে ঝাড়গ্রামে।আয়োজকদের বক্তব্য নারায়ণের দুই স্ত্রীর পুজো আমরা একসাথে করি।দুজনকে ছেড়ে কখনো একজনের পূজা করা যায় না।
বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়দা গ্রামে সাহা ও মন্ডল পরিবারের উদ্যোগে ১৬১ বছরের লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পুজো একসাথে।কেবলমাত্র পুজো বললে ভুল বলা হবে।দূর্গা পূজার থেকেও বেশি আনন্দই মেতে উঠেন এই গ্রামের মানুষরা।প্রায় ৫ দিন ধরে চলে পুজো আর পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিন ধরে আয়োজন করা হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ২৫০ থেকে ৩০০ কুইন্টাল এরও বেশি জিলেপি বিক্রি হয় এই লক্ষ্মীপূজায়।
পরিবারের সদস্য সমীরণ সাহার মতে বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী নারায়ণের দুই স্ত্রী রয়েছে লক্ষ্মীও সরস্বতী।তাই আমরা একজনকে ছেড়ে কিভাবে আরেকজনের পূজা করতে পারি।সে জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষের শুরু করা পূজো লক্ষ্মী সরস্বতীকে একসঙ্গে পুজো আজো আমরা করে চলেছি।এই বছর আমাদের পুজো ১৬১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।পুজোকে কেন্দ্র করে আমরা আনন্দে মেতে উঠি।এই পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিন ধরে চলে নামিদামি শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রা।আজ থেকে লক্ষ্মীপূজা শুরু হবে চলবে ১ই নভেম্বর পর্যন্ত।হাড়দা লক্ষ্মীপূজো দেখার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার বহু মানুষ সের সমাগম হয়।উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তাদের এবারের পুজোর বাজেট রয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।হাড়দা গ্রামের বসবাস করি ৫০০টি সাহা-মন্ডল পরিবারের থেকেই এই চাঁদা দেওয়া হয়।বাইরের কারো কাছ থেকে কোন প্রকার চাঁদা আদায় করা হয় না।জমির উপর,পেশার উপর চাঁদা ধার্য করা হয় নিজেদের সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে।পুজোর এই কটা দিন সবাই আনন্দে মেতে ওঠে।