
মেদিনীপুর 8 ই অক্টোবর:
সমাজের সকল মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েই বাসস্ট্যান্ডের অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন পালন করলো মাইতি পরিবারের ছেলের শিবম।একসঙ্গে কেক কাটা,নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া এবং সেই সঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়া ছিল এই দিন। মাইতি পরিবারের বক্তব্য সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকাই প্রধান বার্তা তাদের।

গুটি গুটি পায়ে শিবম এবারে পড়ল ২৩ বছরে। কিশোর শিবম কবে পরিণত হয়েছে যুবকে।পড়াশোনার সাথে এখন সে হাত লাগিয়েছে বাবার ব্যবসাতে।তবে আর দশটা ছেলের মত শিবম তার জন্মদিন হইহুল্লোড়ে না করে বরং আশ্রয়ের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে কেক কেটে নতুন বস্ত্র তুলে দিয়ে পালন করলো।এদিন মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের থাকার আবাসিক স্থলে পরিবার নিয়ে হাজির হয় মাইতি পরিবার।বাবা অনয় মাইতি ও মা স্মৃতিকণা মাইতি সঙ্গে বোন সূচি কে নিয়ে সকাল সকাল হাজির হয় শিবম। এরই সঙ্গে এই আশ্রয়ে তাদের ডাকে হাজির হন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান,সিআইসি সৌরভ বসু,বিশিষ্ট সমাজসেবী দুলাল দত্ত,সুরজিৎ সরকার, ইমদাদুল খান সহ বিশিষ্ট জনেরা।এদিন মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কেটে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন সেই সকল অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতে উঠে মাইতি পরিবার।

এরপর পাত পেড়ে ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা।এরপর পুজো ও শুভ বিজয়ার প্রণাম ও নতুন বস্ত্র তুলে দেয় এই বছর ২৩ এর শিবম। বর্তমানে MBA করা শিবম তার বাবার ব্যবসার কাছে হাত লাগিয়েছে। পড়াশোনা ব্যবসা ছাড়াও শিবম অবসর টাইম পেলে ফুটবল খেলার সঙ্গে ওয়েব সিরিজের ভক্ত। এই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে শিবনের দীর্ঘায়ু কামনা করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান,কাউন্সিলার সৌরভ বসু সহ উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। দীর্ঘায়ু কামনা করেন এখানে থাকা পরিবার থেকে বঞ্চিত অসহায় মানুষজনেরাও।

এ বিষয়ে সমাজসেবী অনয় মাইতি বলেন,”আমাদের পরিবারের উদ্দেশ্যই হল অসহায় মানুষের পাশে থাকা সেসঙ্গে মানবিক কাজ করা। তাই আমরা আমাদের পরিবারের সকলে এই বিশেষ দিনগুলোতে হাজির হয়ে এই সব মানুষের পাশে।তাদের সঙ্গে কেক কেটে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে থাকতে পেরে আমরা খুব খুশি হই।এরই সঙ্গে এই বিশেষ দিনে তাদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়ায় আমাদের ভালই লাগে।যতদিন বাঁচবো এই ধরনের মানবিক কাজ করে যাব এই বার্তাই থাকবে আমাদের সমাজের কাছে।”

যদিও এই দিন শিবম বলেন,”আমাদের পরিবারের উদ্দেশ্যই হলো মানুষের পাশে থাকা।এর আগেও আমরা একাধিকবার আমাদের বিশেষ দিনগুলিতে এই বিশেষ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।আজকেও বিশেষ দিনে আমরা উপস্থিত হয়েছি এই মানুষদের পাশে। তাদের মুখে হাসি ফুটুক এটাই চাইবো।