
নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
রাতের খাবারের পর চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খেতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু আইআইটি খড়্গপুরের এক পড়ুয়ার।সেই ওষুধ শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ ও আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে।চন্দ্রদীপ পাওয়ার নামে এই মৃত পড়ুয়ার বাড়ি মধ্যপ্রদেশে।সে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফের ছাত্র মৃত্যু শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।তবে এবার ওষুধ খেতে গিয়ে শ্বাসনালীতে সেই ওষুধ আটকে মৃত্যু হল পড়ুয়ার।সোমবার রাত্রি সাড়ে ১১টা নাগাদ আইআইটি খড়্গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। আইআইটি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়
আইআইটি খড়্গপুরের নেহেরু হলে (ডি-৪০৮ রুমে) ওই পড়ুয়া চন্দ্রদীপ থাকতেন।এদিন রাতের খাবার খাওয়ার পর জ্বর-সর্দির ওষুধ খাওয়ার সময়ই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। ওষুধ খেতেই গলায় ওষুধ আটকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।এরপর দ্রুত তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বি.সি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিপিআর-ও দেওয়া হয়।তবে,শেষ রক্ষা হয়নি! ওখানেই মৃত্যু হয় চন্দ্রদীপ পাওয়ারের।যা নিয়ে আইআইটি চত্বরে শোকের ছায়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,
গত শুক্রবার আইআইটি খড়্গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ঋতম মন্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল।

তার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল রুমে।তার মাত্র চার দিনের মধ্যেই ফের দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ অইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসেই ৫ জন মেধাবী পড়ুয়ার মৃত্যু হল আইআইটি খড়্গপুর ক্যম্পাসে।তবে, প্রথম চারজনের মৃত্যুর ক্ষেত্রেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এবং আত্মহত্যার তত্ত্বই উঠে আসে। তবে কী কারণে ঘনঘন ক্যাম্পাসের পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করছেন তা জানতে প্রতিটি হস্টেলেই একটি করে স্টুডেন্টস টাস্কফোর্স তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআইটি খড়্গপুর।সোমবার রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে আইআইটি খড়্গপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।আইআইটি ক্যাম্পাসে অবস্থিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা তথা সিপিআর দেওয়াও শুরু হয়। তবে চিকিৎসা চলাকালীনই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।”ইতিমধ্যেই মৃত পড়ুয়ার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে।