নিজস্ব প্রতিনিধি,গোয়ালতোড়:
প্রতিবছরের মত এ বছরও বর্ণাঢ্য উৎসব আনন্দের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল গোয়ালতোড় সৃষ্টি একাডেমির বসন্ত উৎসব। নৃত্যের তালে তালে রঙে রাঙিয়ে দিয়ে রাস্তায় হাঁটলো কয়েকশ ছাত্র ছাত্রী।এরই পাশাপাশি বিশিষ্ট জনকে সম্বর্ধিত করা হলো একাডেমীর তরফ থেকে।
বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী পায়েল পাত্রর উদ্যোগে প্রতিবছরের মত এই বছরও এক আড়ম্বর পূর্ন ঝলমলে বসন্ত উৎসবের সাক্ষী থাকল গোয়ালতোড়। দেখে মনে হলো এক টুকরো শান্তিনিকেতন কে তুলে ধরলেন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী ও নৃত্যশিল্পীরা।সমগ্র অনুষ্ঠানের মুল ভাবনা ও উদ্যোগ সৃষ্টি ড্যান্স একাডেমীর কর্ণধার পায়েলের।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডাঃ জয়ন্ত কিশোর নন্দী, বিশিষ্ট শিক্ষক ও কবি দেবীপ্রসাদ পাঁজা,অভিষেক রায় ও জঙ্গলমহলের প্রথম টোটো চালক কালিমনী মান্ডী।এইদিন প্রথমে সম্মানীয় অতিথিদের আবির,উত্তরীয় ও সুদৃশ্য মেমেন্টোর মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়।প্রধান অতিথি ডাঃ জয়ন্ত কিশোর নন্দী তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন,”যেভাবে বছরের পর বছর সাফল্যের সঙ্গে এই অভিনব বসন্ত উৎসব পালন করছে সৃষ্টি একাডেমি তার জন্য তাদের কুর্নিশ জানাই।
তার সাথে সকল নৃত্যশিল্পীদের আগামীর সাফল্য কামনা করি’।বিশিষ্ট শিক্ষক ও কবি দেবীপ্রসাদ পাঁজা বলেন ‘এই একাডেমী যেভাবে ছোট ছোট নৃত্যশিল্পী তুলে আনছেন এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তা এক কথায় এলাকার জন্য এক বিরাট পাওয়া’।এত সুন্দর মঞ্চ সজ্জা উপহার দেওয়ার জন্য বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী অভিজিৎ পাত্র মহাশয় কে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের এই বসন্ত উৎসবে এলাকার সকল শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী মানুষদের সংবর্ধিত করা হয়, যা এক বিশেষ অভিনবত্বের দাবী রাখে।গুণীজন সংবর্ধনার পরে,সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ স্মারক ও সমস্ত বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।মূল অনুষ্ঠানে প্রায় চারশো জন ছাত্রছাত্রী তাদের নৃত্য প্রদর্শন করে ও কচিকাঁচা মেতে উঠে আবির ও রঙের খেলায়।একে অপরকে রঙ লাগিয়ে প্রত্যেকে রঙিন হয়ে উঠে। শেষে সবার জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা ছিল।
এই বিষয়ে একাডেমীর কর্ণধার পায়েল পাত্র বলেন, ‘এইবছর মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা আমায় অভিভূত করেছে।আমি আপ্লুত মানুষের এই ভালোবাসা পেয়ে, আমি কুর্নিশ জানাই আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীকে।প্রতিবছরের মত এইবছরেও আমরা সুষ্ঠ ভাবে বসন্ত উৎসব পালন করেছি এইজন্য ছাত্রছাত্রী,এলাকাবাসী ও সমগ্র অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাই।
আগামীতে আমরা আরও নতুন রূপে নতুন ভাবনায় গোয়ালতোড়ে বসন্ত উৎসব আয়োজন করতে চাই।’