
নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
মাসির ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মুখে ফুটলো মাছ ধরার আস্ত কাঁটা। চিকিৎসকের তৎপরতায় ৪৫ মিনিটের অপারেশনে সুস্থ হলো রোগী।রবিবার দুপুরে এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বেলিয়াবেড়া থানার চৌনিশোল গ্রামে।

ঘটনা ক্রমে জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা এলাকার বাসিন্দা আট বছরের ছেলে ভোলা রানা তার মায়ের সঙ্গে চৌনিশোল গ্রামের মাসির বাড়ি এসেছিল মাসির ছেলে ভাই এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে।রবিবার দুপুরে চৌনিশোল গ্রামের বেশ কয়েকজন ছেলের সঙ্গে স্থানীয় একটি খালে স্নান করতে চলে যায় ভোলা।খালে ডুব দিয়ে সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ তার ডান দিকের গালে মাছ ধরার বড় একটি কাঁটা গাল ফুটো করে মুখের ভিতর পর্যন্ত ঢুকে যায়।সেই অবস্থায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন নিয়ে আসে ঝাড়গ্রাম গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা বিষয়টি দেখার সাথে সাথে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। ঝাড়গ্রাম গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক সৈকত রানার নেতৃত্বে ৪৫ মিনিট ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়।সেই অস্ত্রোপচার করে বাইরের দিক থেকে মাছের কাঁটাটিকে বার করা হয় ছেলেটির মুখ থেকে।বর্তমানে ছেলেটি মহিলা শল্য বিভাগের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ছেলেটির মা লক্ষ্মী রানা বলেন,”বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে খালে স্নান করতে গিয়েছিল।সাঁতার কাটার সময় তার গাল ফুটো করে মুখের ভেতরে মাছ ধরার বড় একটি কাঁটা ঢুকে যায়।আমরা হাসপাতাল নিয়ে আসলে এখানে অপারেশন করে মাছ ধরার কাঁটাটিকে বার করেছে।ধন্যবাদ চিকিৎসককে।
অন্যদিকে শল্য চিকিৎসক সৈকত রানা বলেন এই চিকিৎসাটি চ্যালেঞ্জিং ছিল।মূলত বাচ্চাটির ডান দিকের গাল ফুটো করে মুখের ভেতর পর্যন্ত মাছ ধরার কাঁটা ঢুকে ছিল।আমরা ৪৫ মিনিট ধরে অস্ত্রোপচার করে কাঁটাটিকে বের করে দিয়েছি।এখন সুস্থ আছে রোগী।