
নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশিয়াড়ি:
ঘরের ভেতর থেকে বিডিও অফিসের বড়বাবুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার যা নিয়ে চাঞ্চল্য কেশিয়াড়িতে।এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে অভিষেক গাঙ্গুলীর পরিবার। যদিও তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

কেশিয়াড়ি বিডিও অফিসের হেড ক্লার্কের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে কেশিয়াড়িতে ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ।মাথা,ঘাড় সহ একাধিক জায়গায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।মৃতের নাম অভিষেক গাঙ্গুলী (৩৮),বাড়ি মেদিনীপুর শহরের জুগনুতলা এলাকায়।এই অভিষেকের বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে।পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,প্রায় বছর দুয়েক আগে কেশিয়াড়ি ব্লক অফিসে হেড ক্লার্ক হিসেবে যোগদান করেন অভিষেক বাবু।প্রথমে বাড়ি থেকে যাতায়াত করলেও গত দু’মাস আগে ব্লক অফিসের কাছেই সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কাছে একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।সেখান থেকেই অফিসে যাতায়াত ছিল।মঙ্গলবার অফিস না আসায় দুপুরের পরে খোঁজ পরে তাঁর।আর তখনই জানা যায় রুমের ভেতরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে রয়েছে অভিষেকের।এই খবর যায় কেশিয়াড়ি থানায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বেলদা মহকুমা পুলিস আধিকারিক।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।এরই সঙ্গে এই ঘটনায় ৪ জন কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।অন্যদিকে খবর পেয়ে দৌড়ে আসে পরিবারের লোকজন,ছুটে আসে স্ত্রী।কান্নায় ভেঙে পড়ে সকলে।তবে অভিষেকের দেহ দেখে তারা খুনের অভিযোগ করে।

সূত্র অনুযায়ী জানা যায়,অভিষেক গাঙ্গুলী একটা সময় গড়বেতায় পোস্টিং ছিল।বেশ কিছু বছর হলো কেশিয়াড়িতে পোস্টিং হয়ে গিয়েছে।নিজের বাড়ি এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিল এই অভিষেক।তবে ছোট বেলায় বাবাকে হারানো অভিষেক মাঝে মাঝেই নেশাও করতো।সম্প্রতি নেশার ওপর তার ঝোঁক বেড়েছিল বেশি।সম্প্রতি যাতা য়াতের অসুবিধার জন্য একটি ভাড়াবাড়ি নিয়ে এই অফিসের পাশেই থাকতে শুরু করে সে। আর তারপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা।যা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নতুন করে চাঞ্চল্য।

এই বিষয়ে দাদা অভিজিৎ পাল বলেন,”ভাই আমার খুব ভালো ছেলে।ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না।সম্প্রতি বাড়ির বদলে এইখানে অফিসের কাছে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল।পুলিশ তদন্ত করছে,আমাদের ভরসা আছে।দোষীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া উচিত।অন্যদিকে দাদা গণেশ দে বলেন,”ভাইয়ের সে রকম কোনো শত্রুতা ছিল না।তবে ভাই মাঝে মধ্যে ড্রিঙ্ক করত।কিন্তু যেভাবে ভাইয়ের শরীর কাটাকুটি করা হয়েছে এবং ঘরের চারিদিকে রক্ত ছিটিয়ে রয়েছে আমরা মনে করছি ভাইকে খুন করে মারা হয়েছে।যদিও এই ঘটনায় পুলিশ জেলা পুলিশের আধিকারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এইরকম একটি ঘটনায় চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।সেই সঙ্গে ময়না তদন্ত করে খুঁজে দেখা হচ্ছে মৃতের কারণ।তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা সম্ভব না।