
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
আস্তে আস্তে হয়ে ওঠেছে বাংলায় শূন্য।ত্রিপুরায়
ত্তৃতীয় স্থান থেকে প্রধান বিরোধী দল হয়েছে শাসক বিজেপির সমীকরণের দৌলতে। একমাত্র কেরলে এখন ক্ষমতায় দল।এ হেন সিপিএম দেশের রাজনীতিতে যতই প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হোক, প্যালেস্টাইনের ব্যাপারে ‘সংবেদনশীলতা’ অটুট রাখল তারা। তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে পার্টি কংগ্রেসের মঞ্চ শুক্রবার হয়ে উঠল এক টুকরো প্যালেস্টাইন।

এর আগেও বহুবার প্যালেস্টাইনি প্রেমের প্রকাশ পেয়েছে বামেদের মধ্যে থেকে। প্যালেস্টাইনে হামলা হলেই প্রকাশ্যে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই সিপিআইএম। এবার প্যালেস্টাইনের উপর ইজ়রায়েলি ‘হামলার’ বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হল পার্টি কংগ্রেসে।কিন্তু তা করতে গিয়ে প্যালেস্টাইনি পোশাকে সাজলেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট,পিনারাই বিজয়ন,মহম্মদ সেলিমেরা। প্যালেস্টাইনের নাগরিকদের পরিচিতি বহন করে কাঁধে নেওয়া একটি চৌকো কাপড়। ইংরেজির ‘ভি’ আকৃতি করে কাঁধ থেকে তা পিঠের দিকে ফেলা থাকে।যাকে বলা হয় ‘কেফিয়া’।অনেকে আবার ‘শেমাঘ’ও বলেন। মূলত সাদার উপর কালো বা লাল ডোরা কাটা হয় কেফিয়া। শুক্রবার সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সবাইকে কেফিয়া দেওয়া হয়েছে।প্যালেস্টাইনি সেজেই গাজ়া ভূখণ্ডের প্রতি সংহতি জানাল সিপিএম।

যদিও আন্তর্জাতিকতাবাদ অক্ষুণ্ণ রাখলেও সিপিএমের সাংগঠনিক রিপোর্টে উঠে এল সুগভীর দুর্বলতার প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক খসড়া প্রতিবেদনের উপর আলোচনা শেষ হওয়ার পরে শুক্রবার পলিটব্যুরোর সদস্য বিভি রাঘভুলু সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেছেন।সূত্রের খবর, দলে সর্বক্ষণের কর্মী (হোল টাইমার) কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।কেন সর্বক্ষণের কর্মীদের স্বাস্থ্যকর পরিমাণে ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না, তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে সেই রিপোর্টে।দল যে ক্ষয়িষ্ণু,স্বাধীন শক্তির বিকাশ ঘটাতে যে রাজ্যে রাজ্যে দল মুখ থুবড়ে পড়েছে, কার্যত তা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
শুক্রবার প্রথমার্ধে বাংলা থেকে আলোচনা করেছিলেন পলাশ দাস এবং মোনালিসা সিংহ।

বাংলার পরিস্থিতি তাঁরা ব্যাখ্যা করেছেন।বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই যে দলের পক্ষে কঠিন,তা উল্লেখ করেছেন পলাশেরা।শনিবার সাংগঠনিক রিপোর্টের উপর আলোচনা হয়।রবিবার শেষ হবে পার্টি কংগ্রেস। ওই দিনই নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরো তৈরি হবে। ঠিক হবে,প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরির জায়গায় কে দায়িত্ব নেবেন।