
খড়গপুর 9 ই ডিসেম্বর:
আস্ত্রেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। একটি স্করপিও গাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই গাড়ির সামনে লেখা ছিল ‘যুব সম্পাদক’ লেখা বোর্ড। ধৃত কি আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত? এই অস্ত্র কেন ছিল তাঁর কাছে? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। যদিও এই ঘটনায় ধৃতকে খড়্গপুর আদালতে তোলা হলে তার চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।

রেল শহর খড়গপুরে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতী গ্রেফতারে ছড়ালো চাঞ্চল্য।যদিও এই দুষ্কৃতির গাড়িতে রাজনৈতিক বোর্ড নিয়ে শুরু হয়েছে আরেক রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় একটি সন্দেহজনক গাড়ির। সেই খবর পেয়ে রবিবার রাত দশটার সময়ে খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকায় অবস্থিত অতুলমণি পলিটেকনিক হাই স্কুলের সামনে ধৃতের গাড়ি আটকায় পুলিশ।এর পরে তল্লাশি করা হয় তাঁর গাড়িটি।সেই সময়ে ভিডিয়োগ্রাফি চালু রাখা হয়। সেই তল্লাশিতে চালকের সিটের নীচ থেকে একটি দেশি একনলা বন্দুক এবং ৮ এমএম তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। এরই সঙ্গে গাড়ির উপরে একটি শাসকদলের যুব সভাপতি লেখা বোর্ড উদ্ধার করে।এরপরে গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাংবাদিকদের খড়্গপুরের এসডিপিও ধীরজ ঠাকুর এবং খড়্গপুর টাউন থানার আইসি পার্থসারথি পাল যাবতীয় তথ্য জানান।

যদিও তদন্তের স্বার্থে ধৃতের নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি পুলিশ।এ দিকে ধৃতের গাড়িতে ‘যুব সম্পাদক’-এর বোর্ড লাগানো ছিল বলে জানা গিয়েছে। খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এ কথা স্বীকার করেছেন যে ওই গাড়ি থেকে একটি যুব সম্পাদক লেখা একটি বোর্ড উদ্ধার হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, ধৃতের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। বিজেপি-র জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডল বলেন, ‘শুনলাম, ওই যুবক তৃণমূলের জেলা যুব সম্পাদক। অস্ত্র নিয়ে ঘোরার জন্য পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কেন তাঁর নাম প্রকাশ করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে।’ অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা ইটিভিকে জানান,”এরকম পদ রয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। যদি আমাদের দলের কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে তার শাস্তি হবে এটাই কামনা করি।যদিও অন্যদিকে দিকে তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি ওঁকে চিনি না। পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করব।

যদিও এ বিষয়ে সাংবাদিকদের খড়্গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীরজ ঠাকুর বলেন,”রবিবার আমাদের কাছে একটা গোপন সূত্রে খবর আছে একটি সাদা স্করপিও গাড়ি করে একজন ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। আমরা খবর পেয়েই পুলিশ টিম নিয়ে হাজির হই এবং ওই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করি। এরপর তার গাড়ি থেকে আমরা আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তু উদ্ধার করেছি। আপনাদের বার্তার মাধ্যমে এটা জানাবো যারা এই ধরনের ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিতে জড়িত তাদেরকে বলব এদের এই কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে। যদিও গাড়ির মধ্যে তৃণমূল যুব সেক্রেটারি বোর্ড ছিল বলে আমরা দেখেছি।পরবর্তীকালে যা তদন্ত হবে তা আমরা আপনাদের জানাবো। তবে তদন্তের স্বার্থে দুষ্কৃতির নাম আমরা বলতে পারব না।তবে উনি হচ্ছেন খড়্গপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।