
মেদিনীপুর 29 সে অক্টোবর:
বন্ধুকে ডায়ালিসিস করতে নিয়ে এসে দুর্ঘটনার শিকার হতে মৃত্যু হলো আরেক বন্ধুর।বাইকে চাপিয়ে ডায়ালিসিসের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন বন্ধু অসীম দাস।ফেরার পথেই মেদিনীপুর-খড়্গপুরের সংযোগস্থলে মোহনপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা।একটি ট্রাক ধাক্কা মারে এই বাইকটি কে।এই ঘটনায় মৃত্যু হয় অসীমের। এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক তাঁর বাইকে পিছনের আসনে বসে থাকা নির্মল পাল।ধাক্কার তীব্রতায় অসীম ও নির্মল দু’জনেই ছিটকে পড়েন রাস্তার উপর।

ঘটনাক্রমে জানা যায়,এইদিন বুধবার সকালে খড়্গপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা জহর পালের বড় ছেলে নির্মল পাল (৫২)-কে বাইকে চাপিয়ে ডায়ালিসিসের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন বন্ধু অসীম দাস।ফেরার পথেই মেদিনীপুর-খড়্গপুরের সংযোগস্থলে মোহনপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা।একটি ট্রাক ধাক্কা মারে এই বাইকটি কে।এই ঘটনায় মৃত্যু হয় অসীমের। এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক তাঁর বাইকে পিছনের আসনে বসে থাকা নির্মল পাল।ধাক্কার তীব্রতায় অসীম ও নির্মল দু’জনেই ছিটকে পড়েন রাস্তার উপর। মোহনপুর বাজারে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ার দূর থেকে এই দৃশ্য দেখতে পেয়েই ছুটে যান। কিন্তু অসীমের বাইকে ধাক্কা মেরে রাস্তার উপরেই ট্রাক দাঁড় করিয়ে ছুটে পালিয়ে যান চালক ও খালাসি।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় আশঙ্কা জনক অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।সেই সময়েও অসীম স্থিতিশীল ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।তিনিই নির্মলের বাড়িতে ফোন করে খবর দেন।কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই অসীমের মৃত্যু হয়!চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অসীমের মৃত্যু হতে পারে। অন্যদিকে, প্রথম থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা নির্মলের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল নাগাদ তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেই অসীমের দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।

একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য,”বিপদে-আপদে তিনিই ছিলেন ভরসা। সাহায্য চেয়ে হাত বাড়ালেই পাশে হাজির অসীম দাস।এক কথায়,পাড়ার পরিচিতি পরোপকারী যুবক।বুধবার দুপুরেও বন্ধুসম দাদাকে সাহায্য করতেই বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না ঘরের ছেলের।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অসীম বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী ছিলেন। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর এক নাবালক ছেলে আছে। ক্রীড়া জগতের সঙ্গেও অসীম যুক্ত ছিলেন। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ খড়্গপুরবাসী। এ দিন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই হাসপাতালে পৌঁছন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক সুজয় হাজরা, খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার, খড়্গপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও নির্মল পালের বাবা জহর পাল-সহ অনেকেই। নির্মলের ভাই ও জেলা যুব কংগ্রেসের অন্যতম নেতা অসিত পাল বলেন,‘কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। অসীম ভালোই ছিল। ওই ফোন করে আমাদের খবর দিয়েছে। কী যে হয়ে গেল! দাদাকে নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছি। অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক!’বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, ‘জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা শোকাহত!’