
নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
আইআইটি তে ছাত্র মৃত্যু যেন থামছে না।ফের ১৩ দিনের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মেধাবী ছাত্রের। তিন মাসের মধ্যে ৩ মেধাধী ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’ ঘিরে চাঞ্চল্য প্রথম সারির এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যদিও মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ফের ছাত্র মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ালো খড়্গপুর আইআইটিতে।মূলত এই বছর শুরুতেই অর্থাৎ গত ১২ ই এপ্রিল মৃত্যু ঘটেছে এক ছাত্রের।এরপর ২০ ই এপ্রিল আর তারপর আজ ৪ মে ফের আইআইটি খড়্গপুরের মেধাবী ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। সূত্র অনুযায়ী জানা যায় রবিবার ভোরে আইআইটি খড়্গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মহম্মদ আসিফ কামার এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এই মৃত আসিফ আইআইটি খড়্গপুরের মদন মোহন মালব্য হলের SDS ব্লকের ১৩৪ নম্বর রুমে থাকতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।শনিবার রাত থেকেই আসিফের রুমের দরজা লাগানো ছিল বলে পুলিশ ও আইআইটি খড়্গপুর সূত্রে জানা গেছে।সহপাঠীরা বারবার দরজা খোলার চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ হন।এরপর তারা খবর দেয় পুলিশে। পুলিশ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ আইআইটি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা রুমের দরজা ভেঙে আসিফের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

মৃতদেহ খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।আসিফ বিহারের শিওহর জেলার গারাহিয়ার গ্রামের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও IIT কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা রওনা দিয়েছেন খড়গপুরের উদ্দেশ্যে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ‘আত্মহত্যা’ হলেও, ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর খড়গপুর আইআইটিতে এরকমই এক মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফাইজান আহমেদের।যদিও সেই ঘটনায় ফাইজানকে মারা হয়েছে বলেই দাবি করেছিল মৃতের পরিবার।এরপর বহু ঘটনা ঘটেছে,তারপর আইআইটিতে মৃত ফাইজানের তদন্ত নিয়ে নতুন করে রিপোর্ট এসেছে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে রিপোর্টে দেখা গেছে যে পড়ুয়া ফাইজানের মৃত্যুর পেছনে কারণ রয়েছে নৃশংস ভাবে খুনের তত্ত্ব।যেখানে বন্দুকের গুলি এবং ভারি কিছু জিনিস দিয়ে আঘাতের মতো তত্ত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।সেই ঘটনাই নতুন করে মোড় নিয়েছে এই ফাইজানের মৃত্যু ঘিরে।এরই মধ্যে গত বছর দেবিকা পিল্লায়ের মৃত্যু ঘটে এই অস্বাভাবিকভাবে। এ বছরের শুরুতে গত ১২ জানুয়ারি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, পশ্চিম মেদিনীপুরের খুকুড়দহের বাসিন্দা বছর ২১-র সাওন মালিকের দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।তার তিন মাসের মাথায় এপ্রিল মাসে অনিকেতের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে।তার এক মাসের মাথায় ফের মৃত্যু হলো আসিফ কামারের।