
মেদিনীপুর 13 ই অক্টোবর:
সমুদ্রের ধারে গেছেন আর সামুদ্রিক মাছ ভাজা খাননি এমন লোক খুবই কমই আছে। ঢেউ দেখার সঙ্গে সঙ্গে সামুদ্রিক মাছ ভাজা খাওয়ার যে আনন্দ তা এবার খোদ শহরের বুকে। তবে এখানে সমুদ্রের ঢেউ নেই কিন্তু সকল রকম সামগ্রিক মাছ ভাজা খেয়ে দেখতে পারেন।বাবাইয়ের দাদা ভাই ফিস ফ্রাইয়ে হরেক রকম মাছের স্টল নিয়ে হাজির মেদিনীপুরের যুবক।

দীঘার সি-বিচের স্বাদ এবার খোদ মেদিনীপুর শহরে! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন এরকমই এক ব্যবস্থা নিয়ে এলো মেদিনীপুরের ছেলে বাবায়। মূলত দীঘায় গেলে যে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ে সমুদ্রের ধারে গরম তেলে ভাজা সমুদ্রের মাছ খেতে। পমফ্রেট,চিংড়ি,ইলিশ,লাল কাঁকড়া এমনকি কারো কারো চাহিদা রয়েছে অক্টোপাসে।গরম তেলে ভাজা কড়কড়ে মাছের স্বাদ নিতে নিতে সমুদ্রের ঢেউ দেখার আনন্দ একমাত্র ভ্রমণ যাত্রী রাই জানে। কিন্তু এখানে সমুদ্র না দেখতে পেলেও সমুদ্রের সামনে বসে সেই মাছ ভাজা খেতে পাবেন এবার খোদ মেদিনীপুর শহরে আপনার বাড়ির কাছেই।পমফ্রেট,ভোলা, ভেটকি, চিংড়ি,ইলিশ সহ রয়েছে সামুদ্রিক মাছের বিশেষ সম্ভার। গরম তেলে কড়কড়ে করে মাছকে ভেজে সঙ্গে মসলা দিয়ে বানিয়ে পরিবেশন করছে এই যুবক।দামও অতি যত সামান্য। তা খেতে ভিড় জমেছে মেদিনীপুরের মানুষ। আপনি নিজে মাছ নির্ধারণ করলে তা সঙ্গে সঙ্গে তেলে ভেজে তার সঙ্গে বেশ কিছু মসলা মিশিয়ে বেশ মুখরোচক করে পরিবেশন করে দিচ্ছে হাতের কাছে।

এ বিষয়ে স্টল দেওয়া বাবাই বলে,”বেকার হয়ে ঘুর ছিলাম,যেখানে কাজ করতাম সেখানে বেশি টাকাও দিত না।তাই সংসার চালাতে কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছি।দীঘায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দেখেছি কিভাবে মাছ ভেজে পরিবেশন করা হয়।

তাই সেই সমুদ্রের ধারে মাছের স্বাদ দিতেই এই ধরনের দোকান খোলা। আমাদের এখানে সমুদ্রের যাবতীয় ভ্যারাইটি মাছ পাওয়া যাবে।