
নিজস্ব প্রতিনিধি,নারায়ণগড়:
এবার নির্যাতিতার বাড়িতে এলো জাতীয় মহিলা কমিশন সদস্য।নির্যাতিতার সঙ্গে।একান্তে কথা এবং সেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ শুনলেন।এরপর গোটা ঘটনার সরজমিনে খতিয়ে দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন এ তো আরেক শাহাজাহান।যার ভয়ে এলাকার মানুষরা ঘরবন্দী।এই অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির জন্য যতদূর যেতে হয় আমাদের কমিশন যাবে।

প্রায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত এখনো অধরা অভিযুক্ত। এবার নারায়ণগড়ে নির্যাতিতার মহিলার পাশে দাঁড়ালো জাতীয় মহিলা কমিশন।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর এলাকায় গত ৯ তারিখ নারী নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক তৃণমূল নেতার আর ওই নেতা কে গ্রেফতারের দাবিতে নির্যাতিতার বাড়িতে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার।প্রসঙ্গত,গত রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের মকরামপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ওই এলাকার এক বিজেপি কর্মী কে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ধর্ষণ রে মকরামপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এমনটাই অভিযোগ ওই নির্যাতিতা মহিলার।ঘটনার অভিযোগের প্রায় সাত দিন পর তৃণমূল নেতা গ্রেফতার না হওয়ায় নারায়ণগড়ের মকরামপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার।

এদিন তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে একান্তেই নির্যাতিতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেন।।যদিও ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে তিনি ওই তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের দাবিতে উপস্থিত হন নারায়ণগড় থানায়।থানায় পৌঁছে নারায়ণগড় থানার ওসি ও খড়গপুর মহকুমার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন।

নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা মজুমদার জানান “আমি একটা মেয়ের জন্য এসেছি।কিন্তু এখানে এসে অন্তত কুড়িটা মহিলার অভিযোগ পেলাম যারা প্রত্যেকেই ওই একজন ভদ্রলোক যিনি ধর্ষক তিনি কোন না কোন সময় তাদের আর্থিক তোলা আদায়,তাদের বাড়ি দখল করা সহ তাদের শারীরিক অত্যাচার চালিয়ে রাখে।আমার মনে হচ্ছে সে যেন আরেক সেক শাহাজাহান।পাশাপাশি তিনি এও বলেন যেখানে এক নির্যাতিতা মহিলা তিনি অভিযোগ করছেন তিনি যৌনভাবে হেনস্থা এবং যৌন নির্যাতনের শিকার সেখানে পুলিশ কেন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেনি।

আমরা প্রয়োজন হলে এখানকার পুলিশ সুপার জেলাশাসকের সাথে কথা বলব।দরকার হলে তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাবো।