নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শেষ হয়েছে।নতুন শিক্ষাবর্ষ ২০২৫ আসার আগে বর্ষ শেষের আনন্দ কচিকাঁচারা ভাগ করে নিল রঙ তুলি হাতে আর সবুজ মাঠে প্রাণপনে দৌড়ে।মূলত কেশপুর-১ চক্রের টুকুরিয়াপাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচারা দু’দিন ধরে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টুকুরিয়াপাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তথা ৩ নং আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপদ পাখিরা।এই শিশুদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন টুকুরিয়াপাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মধুসূদন রানা,বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী টুকুরিয়াপাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীবৃন্দ,বিশিষ্ট শিক্ষক প্রদীপ কুমার পালধী,মোহন হালদার,বিমান কান্তি দে, পিন্টু সিং,সুধাময় ধল, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অমিতাভ ঘোষাল প্রমুখ।উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সবাই এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “পেটে ও পিঠে” নাটক মঞ্চস্থ করে।শিশুদের এ নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন টুকুরিয়াপাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক মিহির পোড়্যা ও সহ শিক্ষিকা মিতা রাণী পাল।পারিতোষিক প্রদান অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে শিশুদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক,শিক্ষক নেতৃত্ব কৌশিক মণ্ডল, চন্দন চক্রবর্তী,সৌরভ রথ।
এই অনুষ্ঠানে অন্যতম অতিথি গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নেহাশিস চৌধুরী বলেন যে “পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগে এমন পদক্ষেপ প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। সীমিত সামর্থে এমন আয়োজন সবাইকে প্রণোদিত করবে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে আগামী সময়ে এমন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে।অনুষ্ঠানে অভিভাবিকাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক তথা টুকুরিয়াপাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঋত্বিক চন্দ্র বলেন,” ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবার দ্বিতীয় বর্ষের। অভিভাবক,শুভানুধ্যায়ী টুকুরিয়াপাট গ্রাম শিক্ষা কমিটির সকল সদস্য-সদস্যা,স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা সবাই মিলে এমন সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিলেন।সর্বোপরি টুকুরিয়াপাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী বিচারকরূপে আয়োজনকে সফল করলেন।
আগামীদিনে আরো উজ্জ্বল আয়োজন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”এদিনের পুরস্কার বিতরণী সভা শেষে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য ছিল ম্যাজিক শো। গানে,কবিতায়,নৃত্যে,নাটকে পুরস্কার বিতরণী সভা হয়ে উঠেছিল মনোগ্রাহী।উপস্থিত টুকুরিয়াপাট গ্রামবাসীবৃন্দ আয়োজকদের সাধুবাদ জানান।আগামীদিনে এমন মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান আয়োজনে পাশে থাকার বার্তা রাখেন।অনুষ্ঠান ঘিরে এলাকায় বিশেষ সাড়া লক্ষ্য করা যায়।