IIT Convocation:69 তম কনভোকেশনে IIT র প্রশংসা রাষ্ট্রপতির! টেকনোলজিতে মহিলাদের এগিয়ে আসার বার্তা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর :

নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী খড়গপুর আইআইটিতে এলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি অধ্যাপক পড়ুয়া এবং গবেষকদের তাদের সম্মান জানিয়ে বললেন সমাজের সকল ক্ষেত্রেই মহিলাদের এগিয়ে আসা তার খুব ভালো লেগেছে।তিনি চান এভাবেই টেকনোলজিতে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমাজে এগিয়ে আসুক মহিলারা। তাতে ভারতের উন্নতির বিকাশ সাধনে সুবিধা হবে।

নির্ধারিত কর্মসূচি এবং সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলো জেলা শহর ও দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়্গপুর আইআইটির ৬৯ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান।এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই দিন উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের তরফ থেকে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন আইআইটি ডিরেক্টর ভি কে তেওয়ারি। এদিন দুপুর দুটো নাগাদ শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। প্রথমেই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন আইআইটি ডিরেক্টর ভি কে তেওয়ারি। এরপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাপকদের গোল্ড মেডেল প্রদান করে বক্তব্য রাখতে যান দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বক্তব্য রাখার শুরুতেই বলেন “এই মেডেল প্রাপকদের মধ্যে ২১ পার্সেন্ট মহিলা”এটা দেখে খুব ভালো লাগলো।দেশ খুব দ্রুত বদলাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হলে মহিলাদের সমাজে টেকনোলজি ক্ষেত্রে এগিয়ে আনতে হবে।

এরই সঙ্গে এইদিন রাষ্ট্রপতি আই আই টির ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করতে গিয়েও বলেন হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্প থেকেই পথ চলা শুরু হয়েছিল এই খড়গপুর আইআইটি।আজকে দেশের মানচিত্রে এক অন্যতম জায়গা দখল করে নিয়েছে।অতি দ্রুততার সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রবেশ করেছে ভারত বর্ষ।ডিজিটাল লেনদেনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন রাষ্ট্রপতি।তিনি বলেন এখন ছোট ছোট দোকানে গ্রামগঞ্জেও ডিজিটাল লেনদেন,হচ্ছে যা দেখে ভালো লাগছে।দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে আইআইটি পড়ুয়া অধ্যাপক এবং গবেষকদের সহযোগিতা একান্তই দরকার।তিনি ভারতের উন্নতির কথা বলতে গিয়ে এও বলেন আগামী ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার একশ বছর পূর্তিতে দেশ এক বিকশিত দেশ হিসাবে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছবে তারই প্রস্তুতি সম্পূর্ণভাবে নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মহামহোপাধ্যায় হিসেবে দেওয়া হবে ভদ্রেশ্বর স্বামী,সুন্দর পিচাই,রবীন্দ্রনাথ খান্না এবং অজিত জৈনকে।এরই সঙ্গে লাইফ টাইম অচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ দেওয়া হয় প্রফেসর রামচন্দ্র প্রভাকর গোকার্ন কে।এইট লাইফ ফেলো অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ইনস্টিটিউটের ডক্টর বিজয় কুমার সারস্বত,প্রফেসর রবি কুমার ভাস্করন,প্রফেসর প্রেম ভরত,ডক্টর সমীর ভি কামাত,শ্রী ক্রিস গোপালকৃষ্ণান,ডক্টর ভি নারায়ানা প্রমুখ কে।এবারে ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে মোট ৯ জন পড়ুয়া গোল্ড মেডেল এবং ২৬ জন কে সিলভার মেডেল দেওয়া হয়।এছাড়াও বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে। যদিও এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যের রাজ্যপাল উপস্থিত ছিলেন না।


Share

dnews.in