নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
লোকসভা ভোটের মুখে গুলি চললো খড়গপুরে।এরই সঙ্গে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হলো শাসক দলের কাউন্সিলারের স্বামী কে।যেই ঘটনায় চাঞ্চল্য রেল শহরে।যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ।অন্যদিকে এই ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা।
ভোটের মুখে গুলি চলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেল শহর খড়গপুরে।যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় এইদিন সাত সকালে নিজের বাচ্চাকে স্কুল ছেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন খড়গপুর পৌরসভার 15 নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অঞ্জনা সাঁক্রের স্বামী রঞ্জিত সাঁক্রে।সেই সময় খড়গপুর জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার মধ্যেই তাকে লক্ষ্য করে শূন্য রাউন্ডে গুলি চালায় জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী।এরপর তাকে বাইক থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।তাকে ফেলে রড,হকিস্টিক দিয়ে তার উপরে পাঁচ জন দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।ইতিমধ্যেই আহত অবস্থায় তাকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।তবে কারা এই হামলা চালালো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ।অন্যদিকে নির্বাচনের মুখে এই ধরনের হামলা রীতি মতআতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর খড়্গপুর জগন্নাথ মন্দিরের ঠিক সামনে।
এ বিষয়ে আক্রান্ত রঞ্জিত কুমার সাক্রে বলেন যখন আমি মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে ফিরছিলাম তখন রাস্তার মধ্যে বাইক নিয়ে কয়েকজন যুবক দাঁড় করায়।এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা রড বেসবল দিয়ে মারধর করা শুরু করে। এরপর আমি পড়ে যায়।ওরা তখন শূন্যে গুলি চালাই।
এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল বলেন,”এটাই তো হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি।আজকে ভোট আসে,ভোটের আগে মানুষ খুন হয়,ভোট চলতে চলতে মানুষ খুন হয়,ভোট হয়ে যাওয়ার পর পোস্ট পোল ভায়োলেন্সের মানুষ খুন হয়।এই সরকারের আগে বামফ্রন্ট সরকার ও রক্ত নিয়ে হোলি মানিয়েছে আর তারই সুযোগ্য সন্তান সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার হাতেও রক্ত লেগে আছে।আজ পিংলা তে যেভাবে খুন করা হয়েছে সে কারণে আজকে আমাদের অভিভাবক আমাদের রাজ্যের অভিভাবক রাজ্যপাল তিনি আসছেন।