
নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা”ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করল বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা।বোন ও পরিবার-পরিজন হারা এই বৃদ্ধরা বোনেদের ফোঁটা পেয়ে আপ্লুত,দিলেন আশীর্বাদ।এ এক অন্যরকম ভাই ফোঁটা মেদিনীপুরের খড়গপুরে।
রবিবার ছিল ভাতৃদ্বিতীয়া।এদিন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন বোনেরা।আর সেই ভাই ফোঁটায় মেতে উঠল গোটা বাংলা আর বাঙালি।তবে এদিন একটু ভাই ফোঁটার অন্যরকম চিত্র দেখা গেল মেদিনীপুর শহর থেকে পেরিয়ে খড়গপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। আশ্রমের আবাসিকদের কপালে ফোঁটা দিলেন বৃদ্ধারা। দীর্ঘায়ু,মিষ্টি মুখের পাশাপাশি দাদার থেকে নিলেন আশীর্বাদ।সেরকম এক বিরল চিত্র জেলায়।মূলত মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর কমলা কেবিনের কাছে রয়েছে পারুল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি ওল্ড বৃদ্ধাশ্রম।এখানে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন পরিবার-পরিজন থেকে ছিন্ন হওয়া 15 জন আবাসিক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা থাকে কিন্তু এই বিশেষ দিনে তাদের যাতে মন খারাপ না হয় তার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল এই ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান।নিজের ভাই বা বোনকে না পেয়ে এই শেষ বয়সে এসে বিশেষ সক্ষম এই বৃদ্ধ ভাইদের কপালে জুটলো বোন ও দিদিদের ফোঁটা। সঙ্গে ভগবানের কাছে দীর্ঘায়ু কামনা। যা ঘিরে এক প্রকার উৎসবমুখর ছিল এই বৃদ্ধাশ্রম।কারণ এর পরই ছিল বিশেষ খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা।


এ বিষয়ে ভাই ও দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে আবাসিকরা বলেন,”একসময় নিজের ভাইকে এবং দাদাকে ফোঁটা দিতাম।আজকের দিনে বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠানে মেতে উঠতো গোটা পরিবার।মিষ্টিমুখ,খাওয়া দাওয়া, উপহার দেওয়া সহ হই হুল্লোড় চলত।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেগুলো বিলীন হয়ে যায়।এখনো ভাইকে ডাকি কিন্তু সে আর আসে না এই আশ্রমে।তাই এখানকার সমাজ এবং পরিবার ছাড়া ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়েই নিজের ভাইকে স্মরণ করেছি”।


যদিও ফোঁটা পেয়ে আপ্লুত আবাসিক ভাইরা বলেন,’সেই সময়ের দিন খুবই মিষ্টি মধুর ছিল।কিন্তু শেষ বয়সে এসে তারা যোগাযোগ রাখেনি।যদিও এখানে নতুন বোনদের আপন করে নেওয়াতে আগের দিনগুলি মনে পড়ে যায় আমাদের”।

অন্যদিকে এই ওল্ড এজ হোমের কর্ণধার রঘুনন্দন হালদার বলেন,” আমার এই হোমে শারীরিক সক্ষম প্রাপ্ত আবাসিকরা রয়েছে।আজকের দিনে আমার নিজের বোনের কাছে যখন আমি ফোঁটা নিতে যায় তখন আমার এই মানুষদের কথা খুব মনে পড়ে।যার জন্যই একটা ছোট্ট করে অনুষ্ঠানের আয়োজন।আমরা চাই সফল মানুষই ভাল থাক।অন্তত আজকের দিনে তারা তাদের প্রিয়জনকে ফিরে পাক এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
I am truly touched by the philosophy of Shri Ragu Nandan Haldar of Parul Bridhyashram keeping the root & cultural tradition to most deprived persons of Modern Era of Nuclear Family.
Dilip Kumar Mandal
IIT alumnus & ex M.D of A CPSU