Girls Dead : মন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে “কাকুতি মিনতির”পরেও সন্ধ্যায় মৃত্যু কিশোরীর!ক্ষোভ পরিবারের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

শেষ রক্ষা হলো না!মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করে লাভ হলো না রোগীর পরিবারের।শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো ১৩ বছরের কিশোরী।মূলত পেটের যন্ত্রণা নিয়ে বছর ১৩ র এক কিশোরী ভর্তি হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। কিন্তু রোগীর পরিবারের অভিযোগ,ভুল ট্রিটমেন্টে মারা গেছে তাদের কিশোরী। যদিও এই ঘটনায় কাঠগড়ায় সেই মেদিনীপুর মেডিকেল হাসপাতাল। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা রুখতে হাসপাতাল চত্বরে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

সকালে মন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে কাকুতিমিনতি জানিয়ে ছিল পরিবারের লোকজন মন্ত্রী আশ্বাস ও দিয়েছিলেন।কিন্তু না শেষ রক্ষা হলো না,মারা গেল ১৩ বছরের কিশোরী। মেদিনীপুর মেডিক্যালের আইসিইউ তে রবিবার রাতেই মৃত্যু হল সুপ্রিয়া রায়ের।মেয়ের মৃত্যুর পর ক্ষোভ পরিবার পরিজনদের।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মেদিনীপুর শহর কালগাং শেষ প্রান্ত ঝর্না ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়ে সুপ্রিয়া রায় কে অ্যাপেন্ডিক্স রোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত গুক্রবার।শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত্রে এগারোটা নাগাদ তড়িঘড়ি তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের।কিন্তু কোন কিছুর টেস্ট না করিয়েই সোজা অপারেশন শুক্রবার রাতে কেন? সেই প্রশ্ন রোগীর পরিবারের।

ফের শনিবার সকালের দিকে আরও একবার অপারেশন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ বাড়ির লোকের।আর তারপরেই রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এই বছর ১৩ র কিশোরী।তারপরেই তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে।রবিবার ভোরবেলা রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ।আর তারপরেই বাড়ির লোক ক্ষোভ দেখান।অন্যদিকে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের লালগড়ের ধরমপুরের হরিনা গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে আহত হয় একই পরিবারের চারজন।তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু ও হয়।সেই ঘটনায় আহতদের দেখতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রস্থ ছুটে আসেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।তিনি আহতদের দেখে বেরানোর সময় মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তার কাছে মেয়েকে বাঁচাতে কাকুতিমিনতি জানায় মেদিনীপুর রোগীর বাড়ির লোকেরা।প্রথমে মন্ত্রীর হাত ধরে পরবর্তীকালে,মন্ত্রীর পা ধরে এক রকম কাকুতি মিনতি আর্জি জানান পরিবারের সদস্যরা।যদিও মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সাংবাদিকদের জানান তিনি হাসপাতাল সুপার কে বলেছেন বিষয়টি দেখার জন্য।যাতে ভালোভাবে চিকিৎসা হয় কিশোরীর তারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান মন্ত্রী।কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার! অবশেষে বিকেল সন্ধ্যে নাগাদ মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রোগীর আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী।তারা ক্ষোভ যা জানাতে থাকে।যদি ও বেগতিক দেখে আগেই বিরাট পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন করে পুলিশ প্রশাসন।বিরাট পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় হাসপাতাল চত্বর।

এই বিষয়ে মৃতের পরিবার বলেন হাসপাতালে আমাদের রোগীর বিনা ট্রিটমেন্টের মৃত্যু হয়েছে কোন কারণ ছাড়াই এক ও একাধিকবার অপারেশন করেছে হাসপাতালে কতিপয় ডাক্তার। যারা কোন টেস্ট না করেই এই অপারেশনের করেছে তাই আমরা সেই সব ডাক্তারের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

যদিও এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেছে বিজেপি।বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি সংকর গুছাইত বলেন রোগীর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। আমরা বলা কওয়াতে তারা রোগীর বাড়ির লোককে জানাতে বাধ্য হয়েছে যে মৃত্যু হয়েছে রোগীর।আসলে মেদিনীপুর হাসপাতাল আজ শ্মশানে পরিণত হয়েছে।তাই বিনা কারণে মারা যাচ্ছে এইসব রোগীরা।আমরা এর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।


Share

dnews.in