
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
খাবারের গুণগত মান সেই সঙ্গে পুষ্টি গুন নিয়ে এবার ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরীর উদ্বোধন জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেদিন জেলার স্বাস্থ্য সেফটি কমিশনার দ্বারা এই গাড়ির উদ্বোধন হলো জেলায়।এই গাড়ি শহর ও জেলার সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকার আনাচে-কানাচে পৌঁছে গিয়ে খাবারে গুণগতমান পরীক্ষা করবে সেই সঙ্গে দোকানিদের প্রশিক্ষিতর পাশাপাশি প্রয়োজন হলে শাস্তির বিধানের ও ব্যবস্থা করবে।

খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন শুধু শহর কলকাতা বা রাজধানী কলকাতাতেও নয় জেলার ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তেও অভাব অভিযোগ রয়েছে। Expiry খাবার অথবা খাবারের গুণগত অভাব রয়েছে নিয়ে অভিযোগ উঠেছে খোদ জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মেদিনীপুর কখনো বা আবার খড়গপুর।আর তা নিয়ে দীর্ঘ জল ঘোলা হয়েছে।এমন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে সেই খাবার ফেলতে বাধ্য হয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিক রা।সেই সমস্যা সমাধানে এবার ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরির উদ্বোধন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে।এদিন এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পতাকা নেড়ে সেই ভ্রাম্যমান গাড়ির উদ্বোধন করলেন কলকাতার ফুড সেফটি কমিশনার তপন কান্তি রুদ্র।এরই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধারে সৌম্য শংকর সড়ঙ্গি সহ জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

এই ভ্রাম্যমান গাড়ি গোটা জেলা শহর বিভিন্ন আনাচে কানাচে প্রতিদিন দৌড়বে এবং এই গাড়িতেই থাকবেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা।যারা স্পটে গিয়েই খাবারের গুণগতমান বিচার করেই তার গ্রীন সিগন্যাল দেবেন।প্রতিদিনই এই গাড়ি শহর জেলায় ঘুরে বেড়াবে। এর ফলে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে ঠিক তেমনি আর অফিস বা দপ্তরে এসে এসে খাবারের গুণগত মান বিচার করতে হবে না। যার ফলে উপকৃত হবে জেলার বহু মানুষজন।

এই বিষয়ে কলকাতার ফুড সেফটি কমিশনার তপন কান্তি রুদ্র বলেন,”এর আগেও দার্জিলিং,জলপাইগুড়ি, মালদা দিনাজপুর পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরির উদ্বোধন হয়েছে।এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরেও আমরা খাবারের গুণগতমান এবং পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন সেই সঙ্গে খাবার ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যেই এই ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করা হলো।যার ক্যাপ্টেন হলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।তিনি তার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে এই ভ্রাম্যমান গাড়ি পরিচালনা করবেন এবং প্রয়োজন হলে খাবারের গুণগতমান পরীক্ষা করবেন।সেইসঙ্গে দোকানিদের শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন হলেও তা তিনিই বিধান দেবেন।

তবে জেলায় কেনই বা এই ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটর প্রয়োজন হলো সে বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গী বলেন,”জেলার বিভিন্ন সময়ে খাবারের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্নভাবে অভিযোগ আসে আমাদের কাছে তৎক্ষণাৎ আমরা টিম পাঠায় এবং তার গুণগতমান পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয় না।যা নিয়ে ক্ষোভ উত্তেজনা ছড়ায়।

তাই বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি এবার আমাদের জেলাতেও এ ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরী উদ্বোধন হলো যাতে খাবারের গুণগতমান ভালো থাকে এবং সেই সঙ্গে মানুষের সমস্যা সমাধান হয়।