Pujo Tour:এই বর্ষায় পাহাড় থেকে মুখ ঘুরিয়েছে পর্যটকেরা!পুজোয় ডেস্টিনেশন সমুদ্র,মন্দা বাজারে লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

পুজোর মুখে বাইরে ঘুরতে যাবার ধুম।তবে এবারে ডেস্টিনেশন বদলেছে পর্যটকেরা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়,পাহাড়ে ধস,বন্যা কবলিত হওয়ার জন্য পর্যটকেরা এবারে সমুদ্রমুখী হয়েছে।তবে ব্যবসায় মন্দা হলেও পুজোর পর ব্যবসা খুলবে বলে আশা বাদী এজেন্সি গুলি।মহামারী কোভিডের পর এই বছর ফের ব্যবসায় মন্দা বলে দাবি ট্যুর ট্রাভেল এজেন্সি গুলির মালিকদের।

পুজোতে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ধুম

এখন চলছে পিতৃপক্ষ।এরপরই এই পিতৃপক্ষ পিতৃ তর্পনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরু হবে দেবী পক্ষের।তবে এই পুজোর সময় বাইরে ঘুরতে কার না মন চাই।প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও হাজার হাজার মানুষ পুজোর মুখে ঘুরতে যাচ্ছেন পাহাড়-পর্বত সমুদ্রে।তবে এবার কিছুটা জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের পর্যটকদের মন খারাপ।কারণ চারিদিকে বন্যা কবলিত সেইসঙ্গে পাহাড়ে ধস।তাই পর্যটকেরা তাদের ডেস্টিনেশন বদলেছেন।এবারে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের গন্তব্য সমুদ্র এবং জঙ্গল।ইতিমধ্যে ট্যুর ট্রাভেল গুলো থেকে তারা টিকিট কেটে নিয়েছেন এবং পুজোর শুরুতেই পাড়ি দেবেন পর্যটনের উদ্দেশ্যে।তবে এবারে বেশিরভাগ পর্যটকেরা তাদের মানচিত্রে রেখেছেন লাদাখ, জম্মু কাশ্মীর আবার কেউ কেউ বিদেশ সফর।তবে অনেকেই পাহাড় ভালোবাসেন, ভালবাসেন জঙ্গল।মেদিনীপুরের পর্যটকেরা এবারে পাহাড় থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তার একমাত্র কারণে ক্রমাগত বৃষ্টি এবং ধসের প্রভাব।আর তাতেই লোকসানের মুখ দেখছে ট্র্যাভেল এজেন্সি গুলো।উল্লেখ্য,গত মহামারী কোভিডের সময়ে ব্যবসা লোকসানে দেখেছিল এই ট্যুর ট্রাভেল গুলি কিন্তু এরপর ২০২১,২২,২৩ চুটিয়ে ব্যবসা করেছে তারা। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে সফরে বেরিয়েছে রাজ্য এবং দেশ-বিদেশে।ফলে বাজার যেমন খুলেছিল তেমনি ব্যবসায়ে লক্ষী লাভ করেছিল এই এজেন্সি গুলো।কিন্তু এবারে জলমগ্ন পরিস্থিতি সেই সঙ্গে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক ঘটনা তো হয়েছে।সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাহাড়ে ধস এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় যাতে মন্দা দেখছে এই ট্রাভেল এজেন্সি গুলি।

এই বিষয়ে ট্রাভেল এজেন্সি গণেশ চন্দ্র মাইতি বলেন,”পাহাড়ে এখন প্রতিকুল পরিস্থিতি।মানুষ এখন তার ডেসটিনেশন বদলেছে। তারা বরং সমুদ্রর দিকে যেতে চাইছে।তবে আগের পরিস্থিতি এখন আর নেই,ব্যবসায় লোকসান রয়েছে।তার কারণ মানুষের হাতে পয়সা নেই সেই সঙ্গে জলমগ্ন পরিস্থিতি।তবে পুজোর পর পাহাড়ের দিকে পর্যটকদের চাহিদা রয়েছে তারা সেই ভাবে আসছে,বাজার খুলবে বলে মনে হয়।শান্তি চক্রবর্তী নামে আরেক এজেন্সি বলেন,”এখন জলমগ্ন পরিস্থিতি গোটা জেলায় সেইসঙ্গে মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই মানুষ এখন টাকা জমানোর চেষ্টা করছে খরচের দিকে যাচ্ছে না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খরচা করছে।গত বছর বা তার আগের বছর আমরা চুটিয়ে ব্যবসা করেছি কিন্তু এখন সেভাবে পর্যটকরা আসছে না।আশা করছি পুজোর পর প্রাকৃতিক পরিস্থিতি ঠিক হলে পর্যটকরা পাহাড়ের দিকে ছুটে যাবে।তাতে আমাদের ব্যবসা খুলবে।

যদিও এ ট্রাভেল এজেন্সি গুলি সারা বছর তাকিয়ে থাকেন এই পুজো অপেক্ষা করে।কারণ এই সময় সারা বছরের লোকসান পুষিয়ে দেয় পর্যটকেরা।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in