
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
“দয়া করে ড্রিংকস করে আসবেন না জেলা কার্যালয়ে”ঠিক এইভাবে লিখেই এবার পোস্টার সাঁটালের নিজের কার্যালয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা নব্য বিধায়ক সুজয় হাজরা যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলা শহরে।যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির।তাদের বক্তব্য বকলমে স্বীকার করে নিলেন জেলা সভাপতি যে তাদের দলের মাতালরা রয়েছে।
পোস্টার জেলা সভাপতি অফিসে
এ যেন ঠিক উলট পুরান। এবার মদ্যপ কর্মীদের হাতেই নাজেহাল শাসকদলের জেলা সভাপতি।বাধ্য হয়ে পোস্টটা সাঁটালেন কার্যালয়ে।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজার সংলগ্ন এলাকার।ঘটনা বলতে বলা যায় মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি হলেন তৃণমূলের নব্য নির্বাচিত বিধায়ক সুজয় হাজরা।তিনি তার বাড়িতে অফিস করেছেন,যেই অফিসে বসে তিনি তার দলীয় কাজকর্ম দেখেন।প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা তার কাছে ওয়ার্ড সহ জেলার ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা অভাব অভিযোগ নিয়ে আসেন।সেই অভাব অভিযোগ তিনি যেমন অফিসে বসে শোনেন তার পাশাপাশি তার সমস্যার সমাধানও করেন।


এছাড়া তার এই অফিসে বসেই তার কাউন্সিলর স্ত্রী এবং দলীয় কর্মীরা যাবতীয় দলীয় কাজ করে থাকেন।এতদিন ধরে তিনি তৃণমূলের ম্যানেজার এবং দলীয় কাজে নিয়োজিত করে দলকে সংগঠন বৃদ্ধি করেছেন।সেইসঙ্গে দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে তিনি মাঠে নেমেছেন।এবারে ২০২৪ এর বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনি দাঁড়িয়ে এলাকার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।তারপরেই তিনি পোস্টার সাঁটিয়ে দেন তার এই অফিসে।কারণ প্রতিদিন এক ও একাধিক মদ্যপ ব্যক্তি তার অফিসে ঢুকে পড়ছে। ঢুকে পড়ছে শুধু অভাব অভিযোগে শোনানোর নাম করে।তাতে তিনি তিতিবিরক্ত।শেষে এক প্রকার নাজেহাল হয়ে তিনি এই পোস্টার দিলেন তার অফিসের সামনে।


এ বিষয়ে এই নব্য নির্বাচিত বিধায়ক সুজয় হাজরার বক্তব্য,এটা শুধু আমার অফিস না,এটা আমার বাড়ি।। যেখানে আমার ৭০ বছরের উপরের মা বসবাস করেন। মানুষ অভাব অভিযোগ করার নাম করে ড্রিঙ্ক করে চলে আসুক এটা আমি পছন্দ করি না।বহু মানুষ সকাল সন্ধ্যা হলেই ড্রিঙ্ক করে এই অফিসে ঢুকে পড়ে তাতে বাড়ির লোক বিরক্ত বোধ করে। তাই বাধ্য হয়েই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে,এটা খারাপ কিছু না।


যদিও এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।বিজেপির সহ-সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন,”এটাই কাম্য।কারণ তৃণমূল এসব চোর ছ্যাচড়া মাতালরাই রয়েছে।যার জন্য তিতি বিরক্ত হয়ে একজন জেলা সভাপতি খোদ নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন এবং তাদের আটকাতে তিনি পোস্টার সাঁটিয়েছেন তার কার্যালয়ে।এটা গোটা রাজ্যবাসী জানে।