নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকিবাঁধ:
আবার কাঠগড়ায় শাসকদল!এবার পঞ্চায়েত প্রধান খোদ নিজের অফিসে বসে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই ভিডিওতে দেখা গেল নিজের চেয়ারে বসে টাকা নিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান।সেই ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির।সত্যতা মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতির।
এবার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে।যার তার নয় এবার খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর সেই ভিডিওই প্রকাশ্যে এলো এবার। মূলত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বারে বারে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা।এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের টাকা নেওয়ার ভিডিও।সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই শাসক দলকে কড়া নিশানা বিজেপি নেতৃত্বের।এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শালবনি ব্লকের চার নম্বর বাঁকিবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতোর হাতে টাকা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তি বলছেন যে কাজটা হয়ে যাক বাকি টাকা আপনার চাহিদা মত মিটিয়ে দেওয়া হবে।এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।যদিও চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান।অন্যদিকে এই নিয়ে সরব হয়েছে প্রধান বিরোধী বিজেপি।যদিও শাসক দলের জেলা সভাপতির বক্তব্য সত্যতা থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনিক ও দলগতভাবে।
যদিও এ বিষয়ে ওই পঞ্চায়েত প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতো উল্টো সুর গেয়েছেন। তিনি বলেন বলেন যে টাকাটা নেওয়া হচ্ছে সেটা অফ লাইনের টাকা।উনার কাছে আমি টাকা পেতাম তাই উনি শোধ করছেন।এছাড়া এটা চক্রান্ত করে ভিডিওটা তৈরি করা হয়েছে।এই চক্রান্ত করেছে কয়েকজন মানুষ।আমি টেবিলে বসে যে টাকাটা নিয়েছি, ওটা ওনাকে ধার দিয়েছিলাম তাই উনি শোধ করছেন।
এ বিষয়ে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন,”আমরা বহুবার এর আগে বলেছি যে তৃণমূল দলটাই চলছে কাটমানির উপর।
এই ভিডিওতেই কাটমানি নেওয়ার প্রমাণ মিলছে। তৃণমূলের সংস্কৃতি তারা কাটমানি ছাড়া এগোয় না।এখানেও সেই সংস্কৃতিই দেখা গিয়েছে।বাকিবাঁধের মানুষ বিচার করুক তারা কাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে”।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে শাসকদল। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন,”ভিডিওটা দেখলাম আপনাদের কাছেই।তাকে দলের তরফে পুরো বিষয় জানতে চাওয়া হবে। তিনি এও বলেন এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে দলীয় স্তর এবং প্রশাসনিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।