নিজস্ব প্রতিনিধি,মৌপাল:
শালবনী ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে দুদিনের শিশু কিশোর বইমেলার শুভ উদ্বোধন হলো সোমবার।বই যাপনের এই উৎসবের চারা গাছে জলসিঞ্চনের মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়।উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক এবং অমিত্রাক্ষর পত্রিকার সম্পাদক অচিন্ত মারিক,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নয়ন পত্রিকার সম্পাদক বিদ্যুৎ পাল।
এই মেলায় এইদিন নয়ন পত্রিকার সহযোগী বাচিক শিল্পী রত্না দে বইমেলা সংক্রান্ত অসাধারণ একটি স্বরচিত আঞ্চলিক কবিতা শোনান।এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বইমেলা সংক্রান্ত সংগীত এবং ছড়া পরিবেশন করে। শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. প্রসূনকুমার পড়িয়া।এই মেলায় কলকাতার ছয়টি স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও শিশু-কিশোরদের পত্রিকা নয়ন আরেকটি স্টল ছিল।প্রদর্শনীর জন্য বিদ্যাপীঠের গ্রন্থাগার বিভাগের পক্ষেও বিদ্যাপীঠ এর পত্রিকা,মূল্যবান শিল্পকলা বিষয়ক গ্রন্থ,বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফোল্ডার,বুকলেট ইত্যাদি।এরই সঙ্গে বিদ্যাপীঠের শিক্ষকের লেখা বিদ্যাপীঠ বাগানের ভেষজ গাছপালা বিষয়ক একটি গ্রন্থ,যেটি বিক্রয়যোগ্য। প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই দেখার এবং বই কেনার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা বইমেলায় আসেন এবং পছন্দমত বই সংগ্রহ করেন।
বইমেলার আয়োজক তথা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. প্রসূনকুমার পড়িয়া জানান,’বিদ্যালয় স্তরে এই ধরনের মেলার আয়োজন আমাদের জেলায় প্রথম।দুই দিনের আস্ত একটা বইমেলা শিক্ষার্থীরা হাতের কাছে পাচ্ছে,এটা যে কোন শিক্ষার্থীর জীবনে একটা স্মরণীয় ঘটনা।এই বই কেনার ব্যাপারে বিদ্যাপীঠের পক্ষে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছে।পড়াশোনার বইয়ের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের উপযোগী এত বই তারা এই বইমেলায় দেখার সুযোগ পাচ্ছে,এ এক বিরল অভিজ্ঞতা।ছাত্রদের মধ্যে আগ্রহ উৎসাহ এতটাই বেশি, যদি প্রকাশকদের সম্মতি থাকে শিক্ষার্থীর স্বার্থে আগামী দিনেও আমরা এরকম বইমেলা করতে উৎসুক।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমীর বিষই এবং সোমনাথ দেব।