
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
ছিল বাবার মৃত্যুবার্ষিকী তবে আর ৫০০ টা পরিবারের মতন শুধু নিয়ম-নীতি মেনেই সন্তুষ্ট হয়নি পরিবার,দিলেন সচেতনতার বার্তা। রীতিমত চক্ষু পরীক্ষা শিবির এবং চক্ষু ছানি পরীক্ষা শিবিরের মাধ্যমে বাবার বাৎসরিক পালন করল ছেলে বৌমা ও নাতনিরা।

বাবার মৃত্যু ঘটেছিল এক বছর আগে,আজ ছিল তার বাৎসরিক কিন্তু বাৎসরিকে আর ৫০০টা পরিবারের মতন মানুষকে খাইয়ে নিয়ম কার্য করেই সমাপ্ত করেনি এই চ্যাটার্জি পরিবার।চক্ষু ছানি পরীক্ষা এবং চক্ষু শিবির করে সচেতনতার বার্তা দিলেন চ্যাটার্জি পরিবার। গত এক বছর আগে চ্যাটার্জি পরিবারে বিজয় চ্যাটার্জি মাত্র ৬৭ বছরেই মৃত্যু হয় শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে। হঠাৎ এই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছিল চ্যাটার্জী পরিবারের সকল সদস্য সদস্যা।এরপর নিয়ম-নীতি মেনে বাবার শ্রাদ্ধ শান্তির কাজ করেছিল দুই ছেলে নীলাম্বর ও নীলোৎপল চ্যাটার্জী।এরপর ঠিক এক বছর কেটে গেছে আর আজ ছিল বাবার শ্রাদ্ধ শান্তির বাৎসরিক অনুষ্ঠান।

এইদিন নিয়ম রীতি নীতি যেমন মানা হয়েছে তারই সঙ্গে সমাজ চেতনতার বার্তা দিল এই চ্যাটার্জি পরিবার।তাদের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল চক্ষু ছানি পরীক্ষা শিবির ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির। এরই সঙ্গে বিনামূল্যে চশমা দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছিল এই পরিবার।এইদিন শিবিরে মোট ২৫৪ জনের চক্ষু পরীক্ষা হয় এবং ১৫ জনের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন এর ব্যবস্থা করা হয়।এই শিবির উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন মেদিনীপুরের সদর ব্লক আধিকারিক। এছাড়াও সমগ্র অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা করেছিল চ্যাটার্জী পরিবারের পূর্ণিমা চ্যাটার্জি ও তার দুই ছেলে নীলাম্বর চ্যাটার্জি নীলোৎপল চ্যাটার্জি সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় পুত্রবধূরা এবং নাতনীরা।

এদিন নীলাম্বর ও নীলোৎপল চ্যাটার্জি বলেন সবাই মূলত রীতিনীতি মেনে এই বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালন করে কিন্তু আমরা এলাকার দুস্থ মানুষদের দেখেছি তাদের কষ্ট।তাই তাদের চক্ষু পরীক্ষা শিবির ও চক্ষু ছানি পরিক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা করেছি।যাতে বয়স্ক মানুষগুলা বিনামূল্যে এই পরিষেবা পেতে পারে এবং উপকৃত হয়। আমরা মনে করি বাবা এতে বেশি খুশি হবেন।