Health of Kansavati River : কংসাবতী নদীর স্বাস্থ্য ভালো নেই ! সমীক্ষায় উদ্বেগ প্রকাশ গোপ কলেজের ভূগোল বিভাগের ছাত্রীদের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

কোথাও অতিরিক্ত বালি উত্তোলন,কোথাও কচুরিপানার জঙ্গলে গতিপথ অবরুদ্ধ নদীর।কোথাও চলছে জবরদখল চাষবাস আবার কোথাও বা আবার নদীর জলে দূষণ।কংসাবতী নদীর স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখে সমীক্ষায় জানালো ছাত্রীরা। কংসাবতী নদী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ তাদের।

মূলত মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ছাত্রীরা কয়েকদিন দিন ধরে সমীক্ষা চালাচ্ছেন এই কংসাবতী নদীর ওপর।এই সমীক্ষায় তারা দেখেছেন স্রোত,নাব্যতা হারিয়ে কংসাবতী নদী মেদিনীপুরে অনিকেত ড্যাম ছাড়িয়ে মৃত প্রায় বহু দিন ধরে।বিশেষ করে কংসাবতী নদী বাঁধের নিম্ন ধারায়(ডাউন স্ট্রিমে) জলের স্তর নামছে।বিগত দশ বছরে ড্যামের জন্য নদীর নিম্ন অববাহিকায় হাইড্রোজওমেট্রিক ও নদীবেড জিওমেট্রিক,নদী খাতের পরিবর্তন,ভূমির ঢাল আমূল পরিবর্তন হয়েছে।এই নদী নিত্যবহমানা নেই,নদীগর্ভে তথা প্লাবনভূমিতে মানুষ নিজেদের মত দখল করে চাষবাস শুরু করেছে।হাজার হাজার চাষি নদী উপত্যকায় অতিরিক্ত রাসায়নিক সার আর কীটনাশক প্রয়োগ করছেন।এর ফলে দূষণের মাত্রা বাড়ছে।এমনসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে ভূগোল বিভাগের ক্ষেত্র সমীক্ষায়।কলেজের ভূগোল বিষয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রায় ৩২ জন ছাত্রী এই সমীক্ষায় অংশ নেন তাদের শিক্ষক-শিক্ষাকাদের তত্ত্বাবধানে।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অঙ্কিতা,সঞ্চিতা,হৈমন্তী,মধুমিতা, নেহা,কোয়েল,প্রিয়াঙ্কা,নীলাঞ্জনারা বলেন,অনিকেত ড্যামের উপরের অংশে বিশেষ করে কনকাবতী,মনিদহ, ধেড়ুয়া ব্রিজ এলাকায় অত্যাধিক মাত্রায় বালি উত্তোলনের ফলে নদীর মরফোলজিক্যাল চরিত্রের পরিবর্তন হয়েছে।অপর দিকে ড্যাম এর নিচে অংশে (ডাউন স্ট্রিমে) জল ও বালি সরবরাহের কম হওয়ায় নদীর খাত উঁচু নিচু হয়েছে।আর তাতেই নদীর উপত্যকার অস্বাভাবিক চরিত্র বদল হয়েছে।স্থানীয় অধিবাসীদের নদীর উপর নির্ভরশীলতার মাত্রা বাড়ছে। বিশেষ করে নদী গর্ভে বালি উত্তোলন,দূষণ, প্লাবনভূমিতে চাষবাস ও নদীর ল্যান্ডস্কেপ আকার ক্ষুদ্র হওয়ায় নদীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।

এই বিষয়ে কলেজের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বেলা দাস বলেন,অ্যানিকেত ড্যামের ফলে নদীর নিম্ন অববাহিকায়  বালি ও জল সরবরাহ সমতা বজায় থাকছে না।ফলে নদীর অস্বাভাবিক চরিত্র পরিবর্তন ঘটেছে ও নদী বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশ রুদ্ধ হচ্ছে।এই সমীক্ষক দলটি নদীর স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী তিনটি ভাগে ভাগ করেন। সেগুলি হলো প্রথম খুব খারাপ নদীর স্বাস্থ্য: বিশেষ করে কঙ্কাবতী, হরিশপুর অঞ্চল; দ্বিতীয় খারাপ নদীর স্বাস্থ্য: মনিদহ ও ধেড়ুয়া ব্রিজ এলাকা এবং তৃতীয় মাঝারি স্বাস্থ্য: হাতিহালকা ও পাথরা অঞ্চল।সাম্প্রতিক কালে বিদ্যাসাগরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কংসাবতী নদী নিয়ে যে গবেষণা করা হয়েছিল তাতেও ঠিক এই ভাবেই কংসাবতী নদীর স্বাস্থ্য বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।


Share

dnews.in