
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
স্যালাইন কান্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে এবার আন্দোলনে ডিওয়াইএফ আই ও এসএফআই। এদিন মীনাক্ষী মুখার্জির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে ঘিরে উত্তাল মেদিনীপুর।জেলা শাসক কে ডেপুটেশন দিতে এসে বিক্ষোভ,পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি অবশেষে অবস্থানে বসে পড়ে বিক্ষোভ নেতৃত্বের।আহত ৩ জন অন্যদিকে পুলিশের একাধিক।

“একজন মা,একজন শিশু!আর কত লাশ দেখলে প্রশাসনের টনক নড়বে”এই স্লোগান তুলে আবার মেদিনীপুরে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিল বামেদের ছাত্র যুব সংগঠন SFI DYFI। পাশাপাশি জাল স্যালাইন কারবারিদের গ্রেপ্তার,সমস্ত মৃত্যুর দায় স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে তাদের বিক্ষোভ ও জমায়েত।এই বিক্ষোভ জেলা শাসকের ডেপুটেশনে যোগ দেন মিনাক্ষী মুখার্জি।এরই পাশাপাশি কলকাতা থেকে এক ঝাঁক বাম ছাত্র নেতৃত্ব যোগ দেন তাদের মিছিলে।এদিন এই বিক্ষোভ মিছিল মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চক থেকে বের হয়ে রিংরোড অতিক্রম করে জেলা শাসকের কাছে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।এরপর একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন। এই বিষয়ে DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন,”গোটা পশ্চিম বাংলার অব্যবস্থা স্বাস্থ্য পরিষেবা।

তাই যতদিন এই বেহাল স্বাস্থ্যপরিসেবা থাকবে ততদিন রাস্তায় থাকবে বামপন্থীরা।এরপর স্যালাইন কান্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন স্যালাইন কান্ড যদি বাইরে প্রকাশ্যে আসে তাহলে সরকারের কান ধরে ফেলবে জনতা।তাই ডাক্তারের কর্মবিরতি মিটিয়ে তাকে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু আমরা এই স্বাস্থ্যের অব্যবস্থাকে বদলে দিতে রাস্তায় নেমেছি।তিনি আক্ষেপ করে এও বলেন আমাদের বিচার ব্যবস্থা হল শাস্তি দিয়ে অপরাধ কে কমানো এবং বিশ্বাস টিকিয়ে রাখা কিন্তু সেই অপরাধ কমেনি।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঁচ অসুস্থ প্রসূতির মধ্যে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যুতেই এই গন্ডগোলের সূত্রপাত তৈরি হয়।অভিযোগ ওঠে চিকিৎসার গাফিলতি ও স্যালাইনের বিষক্রিয়া।সেই ঘটনায় ৭ জন পিজিটি সহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুপার নিয়ে মোট ১২ জন ডাক্তারের নামে অভিযোগ জমা পড়ে, সঙ্গে সাসপেনশন অর্ডার।যদি এই দিন শ্বেতা সিং নামে আরেক পিজিটির নাম অন্তর্ভুক্ত হয় এই FIR এ পরবর্তীকালে। যে ঘটনার তদন্তভার চালাচ্ছে সিআইডি।এই তালিকায় রয়েছেন বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন,হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।

মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১ সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল,সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস,অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়, পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল,পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল,পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ,ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার ও শ্বেতা সিং(PGT)। গত শনিবার রাত থেকে তোষক মাদুর পেতে রীতিমতো কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র ডাক্তাররা।অবশেষে কর্ম বিরতি তুলে এই দিন সকাল থেকে তারা কাজে ফিরলেন। তাদের মত মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার।