Shmshankali puja : মৃত স্ত্রী র অস্থি দিয়ে রচিত উগ্র তারা কালী মন্দির প্রায় 200 বছরের! মায়ের দুপাশে থাকে দুই সহচরী ডাকিনী যোগিনী

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

কথিত আছে কোন এক এক দ্বিচারিতা স্ত্রী ও তার পতির মৃত শব দ্বারা তৈরি হয়েছিল মহাতাবপুর শ্মশান কালীর উগ্রতারা মায়ের মূর্তি।বাংলার ১২৩৪ সনে তান্ত্রিক পশুপতি মুখোপাধ্যায়ের তান্ত্রিক বিদ্যা দিয়ে তারা মায়ের পুজোর সূচনা হয়।প্রায় ১৫০-২০০ বছর ধরে সেই অস্থি দ্বারাই মায়ের মূর্তি তৈরি হয়।প্রতি ১২ বছর অন্তর কলবরে এই মূর্তি বিসর্জন দিয়ে নতুন মূর্তি তৈরি হয়। পঞ্চমুন্ডের আসনে বসে এই উগ্র তারা মায়ের পুজো করেন বর্তমান পুরোহিতরা ।

মেদিনীপুর জেলা তথা শহরের এক অন্যতম কালী মন্দির হল এই শহরের শ্মশান কালী মন্দির।যা উগ্র তারা মা নামে বিখ্যাত।এই উগ্র তারা কালী মন্দিরের এবছর প্রায় দেড়শ বছর অধিক পড়লো।কথিত আছে এই কালি প্রতিমার প্রতিষ্ঠা কোন এক স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার অস্থি দিয়ে রচিত রচনা করা হয়।সেই সময় এই শ্মশানে কালী মায়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৎকালীন সময়ের এক তান্ত্রিক সাধু। তখনকার এই সময় থেকেই এই কালীপুজোর বিশেষত্ব হলো শোল মাছ পোড়ার ভোগ দেওয়া। নানারকম ফলমূল নৈবদ্যর সাথে তার প্রিয় খাবার দিতে হয় মাকে।এর সঙ্গে পুরনো প্রথা অনুযায়ী এখনো বলি প্রথা চালু রয়েছে এই কালী মন্দিরে।এই প্রতিমার বিশেষত্ব হলো এই প্রতিমার দু’পাশে দুই সহচরী ডাকিনী ও যোগিনী সব সময় বিরাজমান নর মুণ্ড হাতে।

এ মূর্তির প্রতি বছর বিসর্জন হয় না কিন্তু ১২ বছর অন্তর অন্তর নবকলেবরে এই প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া হয় গান্ধী ঘাটে।সেই সময় শুধু অস্থি রেখে দেওয়া হয় সেই অস্থি দিয়ে আবার নতুন করে প্রতিমা তৈরি করা হয়।এছাড়াও এই কালী মা অত্যন্ত জাগ্রত।এই কালীর কাছে নাকি এই কোন মনস্কামনা করলে তা বিফলে ফিরে যায় না তার ভক্তরা। তাই কালী পূজার দিন সারারাত ব্যাপী পূজো চলে এই মায়ের তান্ত্রিক মতে।শহর জেলার না ভিন রাজ্যের মানুষও বিভিন্ন তাদের মনস্কামনা নিয়ে হাজির হন এই পুজো দেখতে।এই পুজোতে যেমন ঢাক ঢোল সহকারে মায়ের জমজমাট পূজা হয় তেমনি নব কলেবরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গোটা শহর সারা দিনব্যাপী পরিক্রমা করে। বর্তমানে কমিটির মতে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করত তৎকালীন সময়ে স্বাধীনতার সংগ্রামী বিপ্লবীরা। তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ছাড়া ও একসঙ্গে মিলিত হয়ে বড় বড় ধরনের আন্দোলনের পটভূমি রচিত হতো এই মন্দির প্রাঙ্গনে।

বর্তমানে পুজো করা ব্রাহ্মণ দুর্গা শংকর মিশ্র জানালেন এই কালী প্রতিমা মূলত তান্ত্রিক মতে হয়।এই পুজো দেওয়া হয় মায়ের প্রিয় খাবার শোল মাছ পোড়া।এছাড়াও এই প্রতিমার দুই পাশে তার দুই সহচরী বিরাজমান সবসময়।মায়ের প্রতিমা তৈরি হয়েছে মৃত মানুষের অস্থি দ্বারা।

অন্যদিকে পুজো কমিটির সদস্য গৌতম পাখিরা বলেন আমাদের ১২ বছর ছাড়া ছাড়া কলেবরে মায়ের মূর্তি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। তবে অস্থি দিয়েই রচিত আমাদের কালী প্রতিমা।সেই কলেবর দেখতে সারা শহরের হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ভিড় জমান।এই মায়ের কাছে কোন মনস্কামনা নিয়ে এলে বিফলে ফিরে যায় না তার ভক্তরা।


Share

dnews.in