নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
অবশেষে জেলা সফরে বেরিয়ে ঝাড়গ্রামে এসে পৌঁছলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার খাতড়ায় প্রশাসনিক সভা শেষে হেলিকপ্টারে করে ঝাড়গ্রাম পৌঁছান।
এইদিন হেলিকপ্টার থেকে নামার পর স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা সবাই কেমন আছেন?কোন সমস্যা নেই তো?রেশন পাচ্ছেন? লক্ষীর ভান্ডার পাচ্ছেন?উত্তরে তারা বলেন,এটা লোধা শবর পাড়া।আমরা রেশন পাচ্ছি।লক্ষ্মীর ভান্ডারও পাচ্ছি।কিন্তু একটু পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে নির্দেশ দেন বিষয়টি দেখে নেওয়ার জন্য জেলাশাসক কে। তাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,লোধা শবরদের উন্নয়নের জন্য পৃথক বোর্ড গঠন করা হয়েছে আস্তে আস্তে আপনাদের সবকিছু করে দেওয়া হবে। এরপর গাড়িতে করে ঝাড়গ্রাম রাজ বাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে আসার সময় একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি।স্কুলের অতিথি শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানান,”তাদের বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকের মতো পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু মাইনে খুব কম। এতে তাদের সংসার চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিও জানান।যদিও বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন।তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় পৌঁছান ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির টুরিস্ট কমপ্লেক্সে।
উল্লেখ্য রাজবাড়ী টুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাত্রিযাপনের পর বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভায় যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে,ঝাড়গ্রাম পৌরসভায় বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা ব্যয় করে নির্মিত জল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।তার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি ব্লকের এবং ঝাড়গ্রাম পৌরসভার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।যার জন্য ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা।এছাড়াও জেলার জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।এইদিন ঝাড়গ্রাম হেলিপ্যাডে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা স্বনির্ভর স্বনিযুক্তি দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা,ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালা,ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, নয়াগ্রামের বিধায়ক তথা ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু।