নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশিয়াড়ি:
বিডিও তরফে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী ও পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্যা কে মারধরও হেনস্থার অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্য ও রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকার বিরুদ্ধে।যা নিয়ে উত্তেজনা কেশিয়াড়িতে।এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শাস্তি চাইলেন বিরোধী দলনেতা।
এবার বিডিও র বৈঠক ডেকে সেই বৈঠকে মারধর করা হলো বিরোধী দলনেত্রীকে এমনই ঘটনা কেশিয়াড়িতে। ঘটনাক্রমে জানা যায় মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় কেশিয়াড়ির পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্স হলে এক সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয় কেশিয়াড়ীর বিডিও তরফ থেকে।মূলত এই দিনের বৈঠক অর্থ তহবিলের বৈঠক ছিল বলে জানা গেছে সূত্র মারফত।আর এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষ সদস্য সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও কেশিয়াড়ি বিজেপির দক্ষিণ মন্ডলের সভানেত্রী মৌমিতা সিংহ। বিজেপির অভিযোগতিনি উপস্থিত হলেই তার ওপর চড়াও হয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যাক্ষ সহ জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা শীট।তাকে মারধোর করা হয় এরই সঙ্গে তার কাপড় টেনে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন বিজেপির সভানেত্রী।দফায় দফায় দুবার ধরে তার ওপর চড়াও হন বলে জানিয়েছেন তিনি।সারা বিডিও অফিস চত্বর দৌড় করিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে এমনই অভিযোগ তোলেন বিজেপির সভানেত্রী।এই ঘটনা ঘটার দু ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তার মেডিকেলের কোন ব্যবস্থা না করে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বিডিও তরফ থেকে। এই ঘটনার পুলিশে খবর পেলে পুলিশ উপস্থিত হয়।
এ বিষয়ে আক্রান্ত মৌমিতা সিংহ বলেন আমি এই পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী।আমাকে চিঠি দিয়ে ডেকেছে বিডিও।কিন্তু আমি ঢোকার মুখেই তৃণমূল আমায় ছুটিয়ে ছুটিয়ে মারে।এরপর আমি বিডিও কাছে আশ্রয় নিয়।এরপর হঠাৎই ওনারা বৈঠকে বসে যান আমাকে ঢুকতে না দিয়ে।এরপর বৈঠক শেষ হওয়ার পর ওরা আবার আমার শাড়ি টেনে মারধর করে এবং অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।আমাকে কোন ট্রিটমেন্টের সুযোগই দেয়নি।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা কল্পনা শিট। তিনি বলেন এমন কোন ঘটনায় ঘটেনি।যেভাবে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালিতে ভুলভাল রটিয়ে বেরিয়েছে ঠিক তেমনি এখানেও এই বিরোধী দলনেত্রী মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছেন,নাটক করছে।
এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে কি এভাবেই চলবে প্রশাসন?পঞ্চায়েত সমিতির একজন নির্বাচিত সদস্যকে সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরে একটি প্রশাসনিক ভবনের মধ্যে আক্রমণ করা হয়েছে !!!শ্রীমতী মৌমিতা সিংহ; কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা;পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা, BDO কেশিয়ারি অর্থ,পরিকল্পনা ও উন্নয়ন “স্থায়ী সমিতি” এর একটি “স্থায়ী সমিতি” সাধারণ সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিল। ব্লক মিটিং হলের ভিতরে টিএমসি সদস্যরা তাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল।
বিডিও কেশিয়াড়ি এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য এককভাবে দায়ী।নির্বাচিত সদস্যদের ব্লক অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এবং তিনি নিরাপত্তা দিতে অক্ষম। বিরোধী সদস্যদের মারধর করার জন্য তিনি টিএমসি নেতাদের সাথে ষড়যন্ত্র করেছেন এমন ধারণা করা কি ভুল হবে?এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এটা শুধু গণতন্ত্রের উপর কলঙ্ক নয় বরং WB-এর প্রশাসন ও শাসক দলের মধ্যে অপবিত্র সংযোগের উদাহরণ।