leopards tour : এনক্লোজারের সমস্যা! ঝাড়গ্রামের তিনটি পুরুষ চিতাবাঘ পাড়ি দিল উত্তরবঙ্গে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

ঝাড়গ্রাম থেকে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘ পাড়ি দিল উত্তরবঙ্গে।ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার রসিকবিলে পাঠানো হয়েছে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘ কে যারা হলো সোহেল,সুলতান ও শাহজাদ।

ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক

মূলত ঝাড়গ্রামে উত্তরবঙ্গ থেকে একটি পুরুষ সোহেল ও একটি স্ত্রী হর্ষিণী নামের দুটি চিতা বাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল।বর্তমানে তাদের প্রজননের কারণে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় চিতাবাঘের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৭ টি।চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ৭টি চিতাবাঘ রাখার এনক্লোজার নিয়ে খুবই সমস্যা হচ্ছিল।তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।আজ সকাল থেকে এনক্লোজারে থাকা তিনটি চিতাবাঘ কে খাচায় ভোরা হয়।তিনটি পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২০ সালের প্রথমদিকে সোহেল ও হর্ষিণী মিলনের ফলে হর্ষিণী প্রথম শাবক প্রসব করে।শাবক প্রসবের পরেই নিজের শাবকদের খেয়ে ফেলেছিল হর্ষিণী।তার কয়েক মাস বাদে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফের দু’টি পুরুষ শাবকের জন্ম দেয় হর্ষিণী।যাদের নাম দেওয়া হয় সুলতান ও শাহজাদ।

সুলতান ও শাহজাদ এই দুটি পুরুষ চিতাবাঘ এখন পূর্ণবয়স্ক হয়েছে।চলতি বছরের মার্চ মাসে তৃতীয় বার সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী। তাতে একটি পুরুষ শাবক ও দু’টি স্ত্রী শাবকের জন্ম দেয় হর্ষিণী।হর্ষিণীর সন্তান প্রসবের পর তিনটি শাবককেই বিশেষ নজরদারির মাধ্যমে রাখে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ । চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনটি চিতাবাঘকে মায়ের সঙ্গে এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হয়।যার ফলে এনক্লোজারে ৭ টি চিতাবাঘ রাখা কে নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।বিষয়টি রাজ্য জু অথরিটিকে জানানো হলে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন জু অথরিটি।এখন চিড়িয়াখানায় হর্ষিণী ও তার তিন সন্তানকে নিয়ে রয়েছে।

বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান,শাল জঙ্গলে ঘেরা মনোরম পরিবেশ রয়েছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের ভেতরে।তাই এখানে জঙ্গলের মতোই স্বাভাবিক মিলন হচ্ছে চিতাবাঘের।ভবিষ্যতে এখান থেকে আরও আমরা আরো চিতাবাঘ পাব। চিড়িয়াখানার রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে বলেন, “তিনটি চিতাবাঘকে তিনটি এনক্লোজারে করে পৃথক তিনটি পিকআপ ভ্যানে কোচবিহারের রসিকবিল মিনিজু তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সমস্ত রকম জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে”।


Share

dnews.in